পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন নির্বাচন খেলা নয়, বিএনপি সত্যিকারের নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনারা (সরকার) নির্বাচন কমিশন একটা করেছেন যে নির্বাচন কমিশন আপনাদের হুকুমে চলে, আপনাদের বংশবদ। আর নির্বাচন একটা করবেন যে নির্বাচনে ভোটাররা যাবে না, ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট দিয়ে দেবেন। সেই ধরনের নির্বাচন এদেশের মানুষ আর করতে দেবে না। এদেশের মানুষ কখনোই এই নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে আর নির্বাচন হতে দেবে না। তারা সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চায়।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন করেই আমরা মানুষের, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যেতে চাই এবং সেখানে কাজ করতে চাই। অতীতে করেছি আমরা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বার বার নির্বাচনে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকে গোটা বাংলাদেশ দেশ তাঁকিয়ে আছে আমাদের দিকে, বিএনপি এবং আমাদের সমস্ত অঙ্গসংগঠনের দিকে যে আমরা নেতৃত্ব দেবো এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, সংগঠনকে শক্তিশালী করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়, তাদের হাতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই, গণতন্ত্র নেই, মানুষের জীবিকার নিরাপত্তা নেই। এই সরকার অবশ্যই সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সংগঠিত হন, সংগঠনকে শক্তিশালী করেন। নেতৃবৃন্দকে অুনরোধ করবো-আপনারা গোটা বাংলাদেশ সফর করেন। প্রয়োজন আছে। তাহলে তারা উজ্জীবিত হবে এবং সংগঠন শক্তিশালী হবে।
সরকার জনগণের বড় শক্র মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, ই-কমার্স ব্যবসা-বাণিজ্য। শুধু ইভ্যালি নয়, প্রায় ১১-১২টার মতো প্রতিষ্ঠান যারা মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। কারণ দেশে গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন হয় না। দুর্নীতির কোনো জবাবদিহিতা নেই। যে যেখানে যেমন খুশি চুরি করছে, ডাকাতি করছে তার কোনো জবাবদিহিতা নেই। আইনশৃঙ্খলা বলতে কিচ্ছু নেই। গুমের সংস্কৃতি তারা চালু করেছে। এই যে রাষ্ট্র তারা তৈরি করেছে সেই রাষ্ট্র আমাদের নয়। এই রাষ্ট্র কখনই আমরা চাইনি। আওয়ামী লীগ সেজন্য আজকে বড় শত্রæতে পরিণত হয়েছে। হেফাজতে ইসলামসহ দেশের আলেম-উলামা এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তুলনামূলকভাবে এই সরকার বেশি সময় থেকেছে এবং তার যাওয়ার সময়টা অত্যন্ত সংক্ষেপ করতে হবে। এখন আমাদের জিয়াউর রহমানের কথাটাই বেশি স্মরণ করতে হবে- লেস টক, মোর ওয়ার্ক। কথা কম, কাজটা একটু বেশি করতে হবে। বলা আমাদের অনেক হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের কথা কিন্তু অনেক বাকী রয়ে গেছে। আমরা সেদিকে মনোযোগী হই।
ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের মাওলানা সেলিম রেজা, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মশিউর রহমান, মাওলানা আবুল হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসেন খলিলী, মাওলানা শামসুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।