পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক ডাকসু জিএস, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আর নেই। গতকাল শনিবার তিনি রাজধানী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী ও ১ ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী এবং রাজনৈতিক অনুসারী রেখে গেছেন।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর মৃত্যুতে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সবাই ছুটে যান তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। গতকাল দলের নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর লাশ রাখা হয়। সেখানে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজে জানাজার পর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থনে তাকে দাফন করা হয়।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেন। তিনি বাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত শতকের ৮০ এর দশকের শুরুতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হন। এরশাদ বিরোধী রাজপথের আন্দোলনে ডিগবাজি দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে এরশাদের উপদেষ্টা এবং পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রী হন। দুই দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় পার্টিতে যোগদানের পর তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ওই আসন ছেড়ে না দেয়ায় প্রার্থী হতে পারেননি। এরশাদের জীবদ্দশায় ২০১৪ থেকে দুই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ২০২০ সালে আবার সেই দায়িত্বে ফিরেছিলেন তিনি।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার সরকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে ইন্তেকাল করেন। বাবলু-ফরিদা দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তবে কয়েক বছর আগেই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের ভাগ্নি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।