রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে শতাধিক বসত বাড়ীসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হরিরামপুরের ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে কাঞ্চনপুর, গোপীনাথপুর, লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও ধুলশুড়া ইউনিয়ন নদী তীরবর্তী হওয়ায় এখান মানুষ বেশি নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে থাকেন। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো বাড়ি-ঘর হারিয়ে কেউ কেউ প্রতিবেশীদের বাড়িতে এবং অন্যের জমিতে ঘর তুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রতি বছর ভাঙন শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাড়াহুড়া করে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এ জন্য জিওব্যাগ কোন কাজে আসেনা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, এবারের ভাঙনে ইতোমধ্যে পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ভাঙনের মুখে রয়েছে হরিরামপুরের আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউনুস গাজী বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার ১২টি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরাধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করা হলে বাকি এলাকাও ভেঙে যাবে। দ্রুত সময়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। অপর দিকে ইছামতির শাখা নদী ভাঙনে ঘিওর উপজেলার কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চ বিদ্যালয় ও গরুর হাট অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে। কুস্তা ব্রিজ, ঘিওর-গোলাপনগরের রাস্তা, বেপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রাম- কবরস্থান, বেপারীপাড়া কবরস্থানটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে শ্রীধরনগর, কুস্তা, মাইলাগী, ঘিওর পূর্বপাড়া, ঘিওর নদীর উত্তর পারের বাজার হুমকির মধ্যে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন জানান, আমি ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এ কাজ অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।