বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের আঁধারে রুবেল (৩৪) নামে কাঠমিস্ত্রিকে রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয় মূলফটকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক রুবেলকে প্রত্যক্ষদর্শীরা পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রুবেল পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাশার।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ বশির, রিপন, জসিম জানান, প্রতিদিনের মতো দোকানের কাজ সেরে বাসায় যাওয়ার পথে রাত পৌনে এগারোটার দিকে পাথরঘাটা কলেজ গেটে পৌঁছামাত্রই তিন যুবক পেছন থেকে মুখ বেঁধে রুবেলকে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এলে অপরাধিরা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে রুবেলের মাথায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তক্ষরণ হয়। এছাড়াও তার হাত ও পায়ে একাধিক জায়গায় ভেঙে যায়। মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়।
রুবেলের বড় ভাই কাশেম রাসেল বলেন, ঘটনার একদিন আগে রুবেলের সাথে বিএফডিসি মৎস আড়ৎদার মো. মারুফের তর্ক হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর, ওসি এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়। কিন্তু এর জের ধরে মারুফের নির্দেশে তার ছেলে আলামিন সহযোগীদের নিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে আমার ভাই মৃত্যুর পথযাত্রী।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যতটুকু জানতে পেরেছি পূর্ব বিরোধের জের ধরেই রুবেলের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা বিরোধ নিষ্পত্তি করে দিয়েছি তার পরেও এমন হামলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অপরাধীরা কোনভাবেই পার পাবে না।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মেহেদী হাসান বলেন, মাথায় প্রচণ্ড আঘাত রয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।