পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অক্টোবর মাসের প্রথম সাপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখনো উচ্চশিক্ষা স্তরের ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর করোনা টিকা নেয়ার নিবন্ধন হয়নি। সরকার বলেছিল, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা তার অধিভুক্ত কলেজগুলোর সব শিক্ষার্থী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারে, তাহলে তারা সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে উচ্চশিক্ষা স্তরের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। সরকারের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের দরকার হয়। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর তা নেই।
জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রের শিক্ষার্থীদের জন্য জন্ম সনদ ব্যবহার করে টিকার নিবন্ধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি ওয়েব লিংক খুলেছে। তবে কমিশনের কয়েক জন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত ওই লিংকটি ব্যবহার করেননি। যদিও ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সশরীরে ক্লাস শুরুর বিষয়টি বড় কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এটা এখন ৫ শতাংশের নিচে। যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে, তাহলে তারা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে ক্লাস শুরু করতে পারে। আর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরের আশা প্রকাশ করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার পরিচালিত দিনব্যাপী বিশেষ অভিযানে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী তাদের প্রথম ডোজের টিকা পাবেন।
মঞ্জুরি কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ লাখ ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী সুরক্ষা অ্যাপ কিংবা ইউজিসির ওয়েবলিংক ব্যবহার করে টিকার নিবন্ধন করেনি। যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৫৪ শতাংশ। এদের বেশিরভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোর শিক্ষার্থী। মঞ্জুরি কমিশনের একজন সদস্য মনে করছেন, এ কারণে ওই কলেজগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জের হবে। তবে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের হার অপেক্ষাকৃত ভালো বলে জানান তিনি।
গত ২৬ আগস্ট দুটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা সাপেক্ষে মধ্য অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজগুলোতে পুনরায় সশরীরে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে সরকার এই অবস্থান থেকে সরে আসে। ১৪ সেপ্টেম্বর বলা হয়, যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকার জন্য সব শিক্ষার্থীর অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারে, তাহলে তারা সশরীরে ক্লাস শুরু করতে পারবে।
ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যায়নরত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী আছে প্রায় ৩ লাখ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়গুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের মতো। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ৮৪ হাজার।
জানতে চাইলে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত সচিব ফেরদৌস জামান জানান, টিকা নেওয়ার জন্য সরকারি অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে ৫ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে। আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছে দেড় লাখের মতো শিক্ষার্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।