পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ পুঁজিবাজারে সুকুক বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার যে তহবিল গঠন করেছে, তার পুরোটাই সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সোমবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ এই সুযোগ করে দিয়েছে। এর মধ্যে ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে ওই তহবিল থেকে বিনিয়োগের মেয়াদ ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। আগে বিনিয়োগের মেয়াদ ছিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের পুরোটাই সুকুক বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে। তবে এই সুকুকের ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি চালিত বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়োমাসসহ বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে এসব সুকুক আবেদনের শেষ দিন থেকে এক বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে গঠিত সুকুকের তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও পণ্য ১২০ দিনের মধ্যে জাহাজীকরণ বা সরবরাহের শর্ত পালন, সব স্থানীয় ব্যয় ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ এবং প্রকল্প উন্নয়নে সর্বোচ্চ আট মাস সময় বরাদ্দ করা। অন্য শর্তগুলো হচ্ছে সুকুকের তহবিল বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত ব্যাংক হিসাবে রাখা, নির্ধারিত ব্যয় ব্যতীত অন্য খাতে কোনো টাকা খরচ না করা। এ ছাড়া কোনো ব্যাংক সুকুকের মোট আকারের ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণ নিয়ে ব্যবসা করলেও অনেকে সময়মতো টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এ জন্য সুকুক ছেড়ে টাকা তোলার সুযোগ দিয়েছে সরকার। টাকা তোলার এমন ধারণা প্রথম হওয়ায় ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের পুরোটাই সুকুকে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। পরে আর এই সুযোগ দেয়া হবে না। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শেয়ারবাজারের এবং দেশের ব্যবসার জগতে অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ সুকুক বন্ড ছেড়ে তিন হাজার কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পেয়েছে। এই তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে অর্ধেক বা এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তোলা হবে। ৭৫০ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ পাবেন বেক্সিমকো লিমিটেডের বর্তমান শেয়ারহোল্ডাররা। বাকি ৭৫০ কোটি টাকা বা ২৫ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিক্রি করে তোলা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।