Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না। কথা পরিস্কার, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি ও দেশের জনগণ যাবে না। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে যেভাবে যা হবে ইনশাল্লাহ আমরা সেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো।

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মরহুম আ স ম হান্নান শাহের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলতে চাই এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। চেষ্টা করলে প্রতিরোধ করা হবে, বাঁধা দেয়া হবে। সেই বাঁধার মুখে আপনারা টিকে থাকতে পারবেন না। এজন্য নেতা-কর্মীদের সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন কমিশন পুনর্গঠন সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ইদানিং রব উঠেছে যে, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করবেন সার্চ কমিটি দিয়ে। ভাই সার্চ কমিটি কোনো দিন শুনি নাই। এই আওয়ামী লীগের সময়ে শুনলাম-খালি কয় সার্চ কমিটি, সার্চ কমিটি। আরে ভাই এতো বড় একটা স্যাটেলাইট লাগাইছেন সেটা দিয়ে নেন না সার্চ কমিটি। এই সার্চ কমিটির কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নাই। আপনারা সার্চ কমিটির মাধ্যমেই করেন আর যেভাবেই করেন- আমরা ওই জায়গাতে নাই।
সরকার গোটা রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কয়েকদিন আগে আমি পত্রিকায় দেখলাম, সাময়িক বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে। এটাও দলীয়ভাবে হয়েছে। আজকে প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে লোক নেয়া হচ্ছে সব দলীয় ভিত্তিতে। যেখানে চাকরির জন্য যাবে সেখানে দলীয় ভিত্তিতে নেয়া হয়। এভাবে পুরো প্রশাসনকে তারা(সরকার) দলীয়করণ করে ফেলেছে, রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। আমাদের ৫‘শ অধিক নেতা গুম হয়ে গেছেন, সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও তারা আবার বলে কী যে, নির্বাচনের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা। আপনারা জেনে-শুনে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছেন যে, এখানে কেউ যেন ভোট দিতে না পারে।
তিনি বলেন, আপনারা এখানে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছেন যে, কেউ কোনো বিচার পাবে না। আজকে আপনি যে কোর্টেই যান সেই কোর্টে বিএনপি দেখলেই তার জন্য আলাদা বিচার, আর বিএনপির বাইরে আলাদা বিচার। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ‘জোটবদ্ধ’ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শুধু বিএনপির জন্য নয়, আজকে দেশকে বাঁচাতে, জনগণের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়, বাঁচার অধিকার, কাজের অধিকারকে ফিরিয়ে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জোট বাঁধতে হবে, বিভক্তি নয়। আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্যকে আরো সুদূঢ় করতে হবে।
তিনি বলেন, সমস্ত জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদেরকে আজকে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ-ফ্যাসিস্ট-দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে-এটাই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ এবং সেটাই হবে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহের প্রতি সর্বশ্রেষ্ঠ সন্মান প্রদর্শন। আসুন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সাথে এগিয়ে যাই।
সংগঠনের আহবায়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এবং জেলা নেতা মজিবুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুর বিএনপির ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, খন্দকার আজিজুল রহমান পেয়ারা, হেলাল উদ্দিন, ভিপি ইব্রাহিম, আবু তাহের মসুল্লী, রাশেদুল হক এবং মরহুম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান বক্তব্য রাখেন।####



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা আব্বাস


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ