পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খামারিদের রক্ষার্থে ‘সয়াবিন মিল’ রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)। পাশাপাশি বিদেশ থেকে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন মাংস আমদানি বন্ধ, খামারিদের বিদ্যুৎ বিল কৃষিখাতে আওতায়ভুক্ত, তরল দুধের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ পশুখাদ্যের দাম কমানোর লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আওতায় সরবারহ করে দেশে দুধ ও গোশত শিল্পের উন্নয়নের আহবান জানান সংগঠনের নেতারা।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এসময় বক্তব্য রাখেন বিডিএফএর সভাপতি মােহাম্মদ ইমরান হােসেন, সহ-সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরানসহ দেশের খামার মালিক সমিতির অনেকে। লিখিত বক্তব্যে ইমরান হোসেন বলেন, সয়াবিন মিল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার-এমন খবরে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন মিলের দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ ঘোষণা দ্রুত দেয়া দরকার। এটি বন্ধ না হলে দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য দাম বেড়ে যাবে। খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পরবেন।
তিনি বলেন, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু উৎপাদনে প্রধান হলো খাদ্য খরচ। এগুলোর মধ্যে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদেশ থেকে প্রাণিজ খাদ্য উপকরণ মিট অ্যান্ড বোন মিল বন্ধ থাকায় সয়াবিন মিলের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দেশের সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন শুল্কমুক্তভাবে (শূন্য) আমদানি করে সয়াবিন তৈল উৎপাদন করে এবং বাই প্রোডাক্টস হিসেবে সয়াবিন মিল দেশীয় বাজারে বিক্রি করে। আমাদের দেশে সয়াবিন মিমের মোট চাহিদা বছরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। এর মধ্যে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দেশীয় সয়াবিন তৈল উৎপাদকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অবশিষ্ট ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি করা হয়। অন্যদিকে, খরচের বিপরীতে পণ্যের নায্যমূল্য না পাওয়ায় বড় অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়তে হবে খামারিদের। দেশের মানুষের স্বার্থে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সেই সয়াবিন সিড থেকে উৎপাদিত সয়াবিন মিলই এখন তিন থেকে চারটি সয়াবিন তৈল উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান মুনাফার স্বার্থে রফতানি করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।