পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গোশত আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে সেটি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। এর ফলে দেশের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে গো খাদ্য শুল্কমুক্ত আমদানি, বন্দর থেকে দ্রুত খালাসসহ বিভিন্ন সুযোগ পাওয়া গেলে গরুর গোশত প্রতি কেজি সাড়ে তিন শ’ টাকায় উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স (বিডিএফএ)।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নবোদয় কনভেনশন সেন্টারে খামারি সম্মেলনে এ কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন। সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় এক হাজার খামারি অংশ নেন।
সম্মেলন বিডিএফএর সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে মাংস আমদানির সুযোগের শর্ত দেওয়া হলে সেটি আমাদের দেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। কারণ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে অর্জিত মুদ্রার বড় অংশ এর কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়। অন্যদিকে দেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত অর্থনীতির চক্রাকারে যা কিছু ঘটে তার পুরোটাই দেশের বিভিন্ন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, যার সামষ্টিক অর্থনীতি তৈরি পোশাক শিল্পের থেকে অনেক বড়। খামারের সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা সরাসরি নির্ভরশীল। তা ছাড়া বাংলাদেশ বর্তমানে গোশত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশে জনপ্রতি গোশত উৎপাদন ছিল ১১ দশমিক ৬০ গ্রাম, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৫ দশমিক ১৪ গ্রাম।
খামারি সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে চেয়ে বাংলাদেশে গোশতের দর কিছুটা বেশি। তবে সিন্ডিকেট করে গবাদিপশুর খাবারের দাম যেন না বাড়াতে পারে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া খামারিদের টিসিবির আওতায় প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে গো-খাদ্য বিতরণ, গো-খাদ্য আমদানি শুল্কমুক্ত করা, বন্দর থেকে গো-খাদ্য দ্রæত খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্মেলনে দেশের সব উপজেলায় পতিত সরকারি জমি খামারিদের ফডার উৎপাদনে লিজ দেওয়া, গবাদিপশু খাদ্য ঘাস, সাইলেজ উৎপাদনে প্রণোদনা, আর্থিক সহায়তা ও ঋণ প্রদান, খামারের বিদ্যুৎ, পানির বিল বাণিজ্যিক আওতামুক্ত করে কৃষির আওতায় আনাসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়। এসব দাবি মানা হলে প্রতিকেজি গরুর গোশত সাড়ে তিন শ’ টাকায় উৎপাদন করা যাবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।