Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাতে ভুতুড়ে অন্ধকার

গাবখান সেতুর সড়কবাতি অকেজো

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঝালকাঠির গাবখান সেতুর বৈদ্যুতিক বাতিগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এতে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় গোটা সেতু। সেতুর অর্ধশতাধিক বাতির সবকটিই নষ্ট। ফলে সন্ধ্যা নামলেই পুরো সেতু ডুবে যায় অন্ধকারে। যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। মাঝে মধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনাও। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও এই সেতুতে টোল আদায় করছে ইজারাদার। কিন্তু নষ্ট বাতি ঠিক করছে না।
গাবখান চ্যানেলের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পঞ্চম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। যেটি গাবখান সেতু নামেও পরিচিত। বরিশাল-খুলনা মহসড়কের ঝালকাঠিতে নির্মিত এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি এই সেতু দেখতে আসেন অনেক দর্শনার্থী। দীর্ঘদিন লাইটগুলো না জ¦লার ফলে সন্ধ্যা হলেই বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন গাবখান সেতুতে চলাচলকারী যানবহন চালক ও দর্শনার্থীরা। একে একে নষ্ট হওয়া বাতিগুলো আর পরিবর্তন করা হয়নি। সঠিক তদারকির অভাবে আজও জ্বলেনি এই সেতুর বাতি। ফলে গাড়ির বাতিই একমাত্র ভরসা, এ কারণে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে রাতের যাত্রাপথ। একই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের মতো কর্মকাণ্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুতে নেই বাতি। নিজস্ব আলোতে দ্রুতগতিতে চলছে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ সব যানবাহন। অথচ এই সেতুতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অচল ল্যাম্পপোস্টের সংখ্যাও কম নয়। এ পথে চলাচলকারী প্রাইভেটকার চালক রশিদ জানান, সন্ধ্যার পর এই পথে চলাচল করা কঠিন। পুরো সেতুতে সড়কবাতি জ্বলে না। অনেক সময় অতিরিক্ত ধুলার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়েও তেমন কাজ হয় না। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মনির হোসেন। তিনি দৈনিক ইনকিলাবেক বলেন, প্রতিদিনই অফিস শেষ করে এ পথে আমার বাড়ি ফিরতে হয়। মাঝে-মধ্যে অফিস থেকে ফিরতে দেরিও হয়। তখন বেশ ভয় করে। কখন ছিনতাইকারী এসে অস্ত্র দেখিয়ে গাড়ি থামায় সেই আতঙ্কে থাকতে হয়। এত বড় সেতুতে বাতি নেই, এটা খুবই আশ্চর্যজনক।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সেতু ও এর আশপাশের জায়গা অন্ধকার থাকায় ছিনতাইসহ অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। এমনকি এ পথে পুলিশও রাতে নিয়মিত টহল দিতে আসে না। তবে সড়ক বিভাগ জানায়, এই সেতুতে বাতি লাগানোর দায়িত্ব ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের। ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের টোল আদায়ের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনদফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও সেতুর বাতিগুলো পরিবর্তন করা হয়নি। এ বিষয়ে সেতুর ইজারাদার ইসলাম এন্ড ব্রাদার্স প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নজরুল ইসলাম বলেন, বাতিগুলো দ্রুত পরিবর্তন করা হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ইজারাদারকে বলে শিগগিরই সেতুতে নতুন বাতি লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ