পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাহমুদুল হাসান ফয়সাল। মাত্র ১৯ বছর বয়সে সপ্তম ও অষ্টমবারের মতো ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকে নাম লেখালেন মাগুরার এ যুবক। বল হাতে দেখিয়েছেন ক্যারিশমা। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ৬৬ বার ও ৩০ সেকেন্ডে ৬৮ বার হাতে ফুটবল ঘুরিয়ে দুটি রেকর্ড গড়েন তিনি। হাতে পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদটি । গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন ফয়সাল।
ফয়সাল বর্তমানে মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করছেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামে। ফয়সাল এর আগেও ফুটবল ও বাস্কেটবল বাহুতে ঘুরিয়ে রেকর্ড করেন। ৩০ সেকেন্ডে ৬৮ বার বাহুতে ফুটবল ঘুরিয়ে সর্বশেষ রেকর্ডটি তিনি করেন চলতি মাসের সেপ্টেম্বরে। সেই রেকর্ডের জন্য ওয়ার্ল্ড গিনেস রেকর্ড বুক তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফয়সাল জানান, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা তার প্রিয়। ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় তা আর হয়ে ওঠেনি। এরপর শুরু করেন ফুটবল খেলা। খেলতে খেলতেই তিনি ফুটবল নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট শুরু করেন। তখনই মাথায় আসে বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করে রেকর্ড গড়বেন।
তিনি বলেন, আমার নানা-নানিসহ পরিবারের সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার স্বপ্ন, এ রকম ২৫টি সার্টিফিকেট নিয়ে সবার সামনে হাজির হওয়ার। পুরো বিশ্বের কাছে নিজের গ্রাম, জেলা ও বাংলাদেশকে তুলে ধরা। আমার এখন একটি মাত্র ইচ্ছা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করা।
ফয়সালের বাবা সোহেল রানা বলেন, ছোটবেলা থেকেই ফয়সাল খেলাধুলার প্রতি খুবই আগ্রহী ছিল। তবে এ রেকর্ডের জন্য সে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এমনকি ওর লেখাপড়ারও ক্ষতি হয়েছে খুব। দুটো সেমিস্টার লস করেছে। তারপরও আমি ওকে উৎসাহিত করেছি। ওর সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত।
মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন বলেন, ফয়সালের সপ্তম ও অষ্টম রেকর্ড আমাদের গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতে ওকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।