পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম বুথ ভেঙে টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবি বলছে, ভারতীয় টিভি সিরিজ সিআইডি দেখে দুর্র্ধষ এই চুরির কৌশল শিখেছিলেন তারা। এটিএম বুথ থেকে চুরি করা টাকার একটি বড় অংশ জুয়া খেলে খরচ করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিম।
ডিবি জানায়, চক্রটির প্রধান শামীম আহম্মেদ। ওমান প্রবাসী শামীম বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে এসে তিনি তেমন কোনো কাজ করছিলেন না। প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন শামীম নিয়মিত সিআইডি দেখতেন। সিআইডি দেখেই অপরাধের পরিকল্পনা করেন তিনি। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট করা হয়।
গতকাল ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সিসি ক্যামেরায় কালো রঙ স্প্রে করা, মুখমন্ডলে কাপড় পেঁচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা, সবই সিআইডি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে করা। আলোচিত এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানী নগর থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর থানা থেকে ডিএমপির সাইবার ইউনিটের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সে মোতাবেক কাজ শুরু করে ডিএমপির সাইবার ইউনিট। এরপর ঢাকা থেকে নূর মোহাম্মদ নামে এক দর্জিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে শামীম আহম্মেদ ও আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনা যদিও ডিএমপির মধ্যে না, তারপরও আমরা কাজ করছি। অপরাধীদের জানাতে চাই, দেশের যেখানেই এ ধরনের কাজ হোক, কেউ পার পাবে না। দেশের কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।
ডিবি বলছে, ১২ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মোট ২৪ লাখ টাকা লুট করা হয়। এরমধ্যে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে। এ ঘটনায় জড়িত জহির নামে একজন এখনও পলাতক।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, লুট করা টাকা দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, সিলেট পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তদন্তের পর তারা আরও বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।