Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোহেল রানাকে ফেরাতে দুই দফা চিঠিতেও সাড়া নেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে এখনও সাড়া দেয়নি ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। সাড়া না মেলায় আবারও দিল্লির এনসিবি বরাবর চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক সোহেল রানা। ইতোমধ্যে দুই দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখা থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের এনসিবিকে চিঠি পাঠানো হয়। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত সাড়া দেয়নি দিল্লির এনসিবি। নতুন করে আবারো ফেরত আনার জন্য চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশ সদর দফতর সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ সদরদফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) এআইজি মহিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অবস্থিত এনসিবিকে সে দেশে গ্রেফতার ঢাকার বনানী থানার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে (সাময়িক বরখাস্ত) ফেরত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। সাড়া না মেলায় আবারও ৭ সেপ্টেম্বর আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই সাড়া মিলবে। তারাও এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছেন।

একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সোহেল রানা ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন, সে দেশের আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া দরকার, বাংলাদেশ পুলিশ টু ভারতের পুলিশ, সেটি করছি। তবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। আমরা আবারো যোগাযোগের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

তিনি আরো বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত সোহেল রানা ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সেখানে মামলাও হয়েছে। এসবই আমরা জেনেছি। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও মামলা হয়েছে। বাহিনী থেকে বরখাস্তও হয়েছেন সোহেল রানা। তাকে ফেরত আনার বিষয়ে অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত ও নির্দেশনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়েন সোহেল রানা। পরদিন ভারতীয় গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। আসামি করা হয় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ ও সোহেল রানাকে। শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন সোহেল রানা। তবে ‘অরেঞ্জ বাংলাদেশ’ নামের প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে তার নাম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা অপরাধমূলক একাধিক কাজে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন বিএসএফের জিজ্ঞাসাবাদে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, সম্ভবত গা ঢাকা দেওয়ার লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ