Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুর্র্নীতিবাজদের শান্তির দিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক হাজার ৮০০ জনবল নিয়োগে ব্যাপক ঘুষ লেনদেন ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশের প্রায় ৬ মাস পর, ‘খাতায় অস্পষ্টতা পাওয়া গেছে’ এই কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ঘুষ লেনদেন ও অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে শুধু ‘খাতায় অস্পষ্টতা পাওয়া গেছে’ উল্লেখ করায়, প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনায় আদৌ দুর্নীতি হয়েছে কি না, কিংবা হয়ে থাকলে তাদের পরিচয় এবং কীভাবে জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে, তা অমীমাংসিত থেকে গেছে। এ বিষয়ে ড. জামান বলেছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত যে প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো, সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ প্রস্তাব করার অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে কি না বা জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নগুলো অবান্তর নয়। বরং আমরা মনে করি, দুর্নীতির যে ভয়াবহ বিস্তারের ইঙ্গিত সেই প্রতিবেদনে ছিল, তার প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য তদন্তের ভিত্তিতে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপই প্রত্যাশিত ছিল। অনিয়মের তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় নিয়োগ বাতিল করে আপাতত বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এবং কার্যত দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকেই টিকিয়ে রাখা হলো। পাশাপাশি এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কথিত ‘উপরমহলের’ যোগসাজশের সন্দেহটাও ঘনীভূত হলো।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, কেউ স্বাস্থ্য খাতে বড় কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেনি’ এমন সব মন্তব্য করে দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আর নেই। পক্ষ-বিপক্ষের বিবেচনার ঊর্ধ্ব উঠে প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বিশেষ করে, এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যত ধরনের অভিযোগ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর নানামুখী স্বার্থ ও সংশ্লিষ্টতার কথা আলোচিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সামগ্রিক শুদ্ধাভিযান এখন সময়ের দাবি।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
    করনা এখন শেষ তার পরে ও টিকা দিতে হবে,তবে আছতে দিরে সস্তা দামে পাওয়া যাবে,অবৈধ সরকারের মন্ত্রী মশাই গণ তাড়া হুড়া দেখাইয়া কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করবে,করনা হবে একটি উচলা সাবধান থাকতে হবে জন জনকে ,হয়তো মেয়াদ নেই সে গুলি নিয়ে আসবে ,জনগণ কি জানবে মেয়াদ আছে নাই।সাবধান জনগণ ধোঁকা বাজী করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করবে এবং কি করার চিন্তা ভাবনা করতেছে।,জনগন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে কার আগে কে দিতে পারে ,কে বুজবে অথবা কে দেখবে মেয়াদ আছে নাই,বিশেষ করে সাধারণ মানুষ ভয়েও জিজ্ঞাসা করবে না অথবা মেয়াদ দেখার সাহস পাবে না ,জরুরি জরুরি জরুরি বিশিষ্টজনেরা খেয়াল রাখতে হবে। এখন জলদি জলদি আনতে হবে এমন দরকার নাই। সারা বিশ্বে এখন করনার নাম ও নাই জিরোতে এসে গেছে,এই ফাঁকে আসতাগপিরুললা হবার সম্ভবনা বেশী,জরুরি খেয়াল জনগণ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ