পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1722039736](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী গাড়িচালক আবদুল মালেকের স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিয়োগ-বদলিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিল। আর এ কারণেই আজকের শত কোটি টাকার মালিক মালেকের উত্থান। স্বাস্থ্যের ২০০৯ সালের মহাপরিচালকের (সাবেক ডিজি) আমলেই অধিদপ্তরজুড়ে বেপরোয়া সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন মালেক ড্রাইভার। মূলত তখন থেকেই মালেকের উত্থান শুরু। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নিয়োগ-বদলিতেও বেশ প্রভাব ছিল তার। মালেকের সিন্ডিকেটে অধিদপ্তরের অফিস সহকারীসহ ছিলেন একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাদের ব্যবহার করেই মূলত অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করতেন। এরমধ্যে কোনো কর্মকর্তা ঘুষ নিতে না চাইলে কিংবা অসৎ কাজে জড়িত হতে না চাইলে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতেন মালেক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। একটি সংস্থার প্রতিবেদনে ড্রাইভার মালেক সম্পর্কে এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে ১৪দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
একটি সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ সালে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে উল্লেখযোগ্য শতাধিক লোক নিয়োগে সরাসরি বাণিজ্য করেন মালেক ড্রাইভার। এই সময়ই বেশ কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এরপর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য নিয়োগ-বদলি কিংবা পদোন্নতি বাণিজ্যের মাধ্যমে অল্পদিনেই বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যান এই গাড়িচালক মালেক।
সূত্র জানায়, অধিদপ্তরে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্য চালাতো মালেকের শক্তিশালি সিন্ডিকেট। তার এই সিন্ডিকেটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুইজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন প্রধান সহকারী, দুইজন অফিস সহকারী মিলে ছয়জন। মালেকের অপকর্মে অধিদপ্তরের যেসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সম্মতি দিতেন না, তাদেরই নাজেহাল করা হতো। এমনকি ভুঁইফোঁড় ও নামসর্বস্ব কিছু সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রতিবেদন করাতেন। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এটি মালেকের অন্যতম টেকনিক।
তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারের পর মালেকের অবৈধ অর্থ-সম্পত্তির তথ্য বেরিয়ে আসছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালেক জানান, তার যেসব সম্পদ রয়েছে, সেগুলো রক্ষার্থে এবং নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্রটি নিজে হেফাজতে রেখেছিলেন। আর জাল টাকার বিষয়ে তিনি জানান, তার বিভিন্ন কারবারে অনেক টাকা লেনদেন করতে হয়, সেজন্য তিনি জব্দ করা জালনোটগুলো কাছে রেখেছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. আশিক বিল্লাহ বলেন, মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। ফৌজদারি আইন লঙ্ঘনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মালেকের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বিস্তর ফারাক রয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দক্ষিণ কামারপাড়া বামনার টেক এর ৪২ নম্বর হাজী কমপ্লেক্স ভবন থেকে অস্ত্র-গুলি ও জালনোটসহ আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে (৬৩) গ্রেফতার করে র্যাব-১। ওই বাসায় মালেকের শোয়ার ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, এক লাখ ৫০ হাজার টাকার জালনোট, একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব। পরদিন র্যাব বাদী হয়ে তুরাগ থানায় তার বিরুদ্ধ অস্ত্র আইনে ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এরপর গত সোমবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে দুটি মামলায় সাতদিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।