পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আগামী পাঁচ বছরে এই সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ সহায়তা পেতে যাচ্ছে, তার পরিমাণ হবে আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের জন্য নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজির (সিপিএ) আওতায় এই সহায়তা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, আগামী পাঁচ বছরে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে সংস্থাটির কাছ থেকে বাংলাদেশ পাবে প্রায় ১২শ’ কোটি মার্কিন ডলার। গত পাঁচ বছরে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরের তুলনায় আগামী পাঁচ বছরে তাদের আর্থিক সহায়তা বাড়বে ২শ কোটি মার্কিন ডলার বা ২০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিপিএ’র লক্ষ্য হলো প্রতিযোগিতা, কর্মসংস্থান ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বাড়ানো। একই সঙ্গে সবুজ উন্নয়ন ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রচার এবং মানুষের মূলধন ও সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করাও তাদের লক্ষ্য। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই সিপিএ আগামী ৫ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে। এটি করোনাভাইরাস মহামারি থেকে দ্রুত আর্থসামাজিক পুনরুদ্ধারেও সহায়তা করবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক হবে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে এডিবি। এ তথ্য জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, এর মাধ্যমে তারা কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর বাইরে সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য একশ কোটি মার্কিন ডলারের কর্মসূচিভিত্তিক বাজেট সহায়তার অনুরোধ করেছে। এর মধ্যে ২৫ কোটি ডলার এডিবি’র পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ২০২১-২০২৩ সালের মধ্যে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোমা বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও যথাযথ নীতিব্যবস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে। এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শিল্প। তবে রফতানিতে বৈচিত্র্যায়ন প্রয়োজন। কৃষি পণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো উৎপাদন এবং রফতানি সামগ্রীর বৈচিত্র্যায়ন বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াবে এবং নতুন বাজারে প্রবেশে সহায়তা করবে। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে এগুলো কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশে তার বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করবে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে। ব্যাংকিং খাতের উন্নতি, ব্যবসা করার সহজতা, ব্যবসার পরিবেশ এবং বিনিয়োগ পরিবেশ বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।