বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাঁচ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে বরিশাল মহানগরীর প্রধান কয়েকটি সড়ক গত ৩ বছরে সংস্কার করা হলেও দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে নগরী পুরাতন ও বর্ধিত অংশের ছোট-বড় বহু সড়কের এখন বেহাল দশা। বৃষ্টির ফলে এসব সড়ক ব্যবহারকারী নাগরিকদের ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম শেষে নগরীর অনেক সড়কই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে বলে শংকিত ওয়াকিবাহল মহল।
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, গুণগত মান নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে বাকিগুলোর কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নগরবাসীকে এমন আশ্বাসই দিয়ে বলেছেন, নিজস্ব সম্পদ আর আয় দিয়েই সিটি করপোরেশনকে চালিয়ে নিতে হচ্ছে তাকে। এজন্য একসঙ্গে সব রাস্তার কাজ শুরু করতে না পারার কথা জানিয়ে পর্যায়ক্রমে সব রাস্তার কাজই শেষ করার কথাও বলছেন তিনি। যে টুকু কাজ করা হয়েছে তার গুণগত মান ও স্থায়িত্ব অতীতের তুলনায় বেশী বলে দাবী করে তা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করার কথা বলে আসছেন তিনি।
নগরবাসী অবশ্য সড়ক উন্নয়ন কাজে সাম্প্রতিক ধীরগতি ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের ছোঁয়া না লাগা সড়ক নিয়ে হতাশার কথা বলছেন। তবে শহরের প্রধান কয়েকটি সড়ক সংস্কার সহ পুন:নির্মাণের মধ্য দিয়ে নির্বিঘœ চলাচলের উপযোগী করা হলেও ছোট-বড় অনেক সড়কেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি নগরীর রাজকুমার ঘোষ রোডটি মেরামত ও উন্নয়নে এক করদাতা আগাম ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও সে সড়কে এখন পথচারীদের চলাও দায়।
নগরীর মতাশার এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, আদি শ্মশান থেকে মতাশার বাজারের আধা কিলোমিটার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইটের লালচে রং দেখা যাচ্ছে খানাখন্দে। সেই সঙ্গে আশপাশের ছোট ছোট সড়কগুলোরও বেহাল দশা। এতে ওই সড়কগুলো ব্যবহারকারী মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া ও কালাম সরদারসহ অনেকেই বলেন, পলাশপুর ব্রিজের ঢাল থেকে পোর্টরোড ব্রিজের ঢাল পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ী সহ সদর উপজেলার চরমোনাই, চরআবদানি, শহরের বেলতলা, পলাশপুর, রসুলপুর, কলাপট্টি এলাকার মানুষজন চলাচল করেন। এই সড়কের পুরোটাই বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এসব সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন সহসা চলাচল করতে রাজি না হওয়ায় নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নগরীর নবগ্রাম রোডটি গত ৫ বছরেও রক্ষনাবেক্ষন হয়নি। ফলে দুই লেনের ঐ সড়কটি ক্রমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে সি অ্যান্ড বি ১ নম্বর পুল থেকে টিয়াখালি হয়ে নবগ্রাম রোড পর্যন্ত সড়কটিও এলাকাবাসীর দূর্ভোগ বৃদ্ধি করছে। নগরীর জিয়া সড়ক, শের-এ-বাংলা সড়কসহ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট-বড় বেশকিছু সড়কেরও বেহাল দশা।
কয়েকজন ভুক্তভোগী নাগরিক বিসিসির প্রকৌশল বিভাগকে নগরীর অলিগলির বিভিন্ন ছোট বড় রাস্তাগুলো আরসিসির ঢালাই রাস্তা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বর্ষা হলেই নগরীর অলিগলির রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে যায়। তারপরে যখন কোন ভাড়ি যানবাহন তার উপর দিয়ে চলাচল করে তখন বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়। সত্তর বছর আগের মত আরসিসি সড়ক করা হয় তা নগরবাসীকে দীর্ঘদিন স্বস্তিতে রাখবে বলেমনে করছেন নগরবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।