পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারা দেশে তীব্র নদী ভাঙনে দিশেহারা মানুষ। বন্যার পানি কমতে থাকার সাথে সাথে পদ্মা, যমুনা, তিস্তা, ধরলা, মধুমতিসহ বিভিন্ন নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনে ঘর-বাড়ি, জমি-জমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। বাড়ি-ঘর হারিয়ে ভাঙনকবলিত মানুষ ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, মসজিদসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ভাঙনের মুখে রয়েছে হরিরামপুরের আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। যে কোনো সময় নদীতে চলে যাবে এই বিদ্যালয়টিও। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা মাদ্রাসা। যমুনার তীব্র ভাঙনে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘর-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াই নদীর ভাঙনে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটি হুমকির মুখে। এ ছাড়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের অনেক অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে না পারলে এ ইউনিয়নটি কুষ্টিয়া জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে ভোক্তভোগিদের অভিযোগ। কোথাও কোথাও বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
দেশের বিভিন্ন স্থানের নদীভাঙন নিয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।
মানিকগঞ্জ থেকে শাহীন তারেক জানান, পদ্মা, যমুনা ও কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষেরা। বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় নদী তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না বলে স্থানীদের অভিযোগ রেেয়ছ। ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবি নদী তীরবর্তী মানুষদের। দেখা গেছে, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে হরিরামপুর, শিবালয়, দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, সাটুরিয়া এলাকার অন্তত দুই শতাধিক বসত-বাড়িসহ বিস্তীর্ন এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই বসত-বাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। গত তিন সপ্তাহে পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। ভাঙনের মুখে রয়েছে হরিরামপুরের আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। যেকোনো সময় নদীতে চলে যাবে এই বিদ্যালয়টিও। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা মাদ্রাসা। ভাঙনের মুখে পড়েছে দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া বাজার ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ,ঘিওর উপজেলার কুস্তা কবরস্থান ও ব্রীজ। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যাবস্থা না নিলে যেকোনো সময় এ সব প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফরিদপুর থেকে আনোয়ার জাহিদ জানান, পদ্মা ও মধুমতি নদীর ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তীরে বসবাস করা মানুষ। গত কয়েকদিনে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ভাঙনে ২২টি পরিবারের ৬৫ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি স্থানে পদ্মা নদীতে ভাঙন বেড়েছে। আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর, টগরবন্ধ, বাজরা, দিকনগর, পাঁচুড়িয়া, মধুখালী উপজেলার কামারখালী, গয়েশপুর, চর গয়েশপুর এলাকায় মধুমতী নদীতেও বেড়েছে ভাঙন। এলাকাবাসী জানায়, ১৭ জুলাই থেকে নদীতে ভাঙন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে।
কুষ্টিয়া থেকে এস এম আলী আহসান পান্না জানান, জেলায় পদ্মা ও গড়াই নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পরেছে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের একমাত্র কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটি। ভাঙন দেখা দিয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা। এরই মধ্যেই বেশ কিছু কৃষি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীর তীরবর্তী ভাঙন কবলিত মানুষ। নদী ভাঙনে ভিটামাটি হারা পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তালবাড়ীয়া মোবারক বাঁধের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। নদীর অব্যাহত ভাঙনে এই ইউনিয়নের প্রায় কয়েকশ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন। ক্রমাগত ভাঙনে প্রায় কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৬টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বছর নদী ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। প্রতিদিনই ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে তীরবর্তী এলাকা ভেঙে ইউনিয়নের মূল ভূখণ্ডের আয়তন ক্রমেই কমছে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অব্যাহত নদী ভাঙনে বিলিন হয়েছে কয়েকটি গ্রামের শত শত ঘর-বাড়ি। এর মধ্যে রায়গঞ্জ ইউনিয়নের, হাজীরমোড়, বড়বাড়ী, মিনাবাজার, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানিরকুটি, বড়মানী, ওয়াপদাঘাট, বেরুবাড়ী ইউনিয়নের ফান্দেরচর, চরবেরুবাড়ী, বল্লভেরখাস ইউনিয়নের রঘুরভিটা, কৃষ্ণপুর, রাম দত্তসহ বিভিন্ন প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি, সুপাড়ি বাগান ও আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। দুধকুমার নদীতে বিলিন হয়েছে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের আনছারহাট জামে মসজিদ। ভাঙনের হুমকিতে আছে রঘুর ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে কালীগঞ্জ, নুনখাওয়া, নারায়নপুর ইউনিয়নেও।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে আব্দুর রাজ্জাক বাবু জানান, জেলার চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলার যমুনা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নদী ভাঙনে বাড়ি ঘরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। হুমকির মধ্যে রয়েছে বাজার, মসজিদ, বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন এখানকার বাসিন্দারা। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর ভেঙে আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নিলেও কোন কাজে আসছেনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থেকে মো. কামরুল হুদা জানান, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নে মহানন্দা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। ইউনিয়নটির দক্ষিণ ইসলামপুর, উত্তর ইসলামপুর ও বালুটুঙ্গি এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি, গাছ, ফসল ও একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি মসজিদ নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে এক গ্রামে দশ বারটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এলাকাবাসী বিরাট সমস্যায় পড়বে বলে ধারণা করে সংশ্লিষ্ট মহল। চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে প্রতিবছরই ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকে। মাঝে মধ্যে কিছু জিওব্যাগ ও বালির বস্তা দিয়ে প্রটেকশন দেয়া হয়। কিন্তু আশানুরূপ না হওয়ায় ভাঙনের ঝুঁকি থেকে যায়।
জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ফিরোজ খান লোহানী জানান, জেলার ইসলামপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে উপজেলার ৯ নং গোয়ালের চর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর, চর মোহাম্মদপুর, সভার চর গায়েন পাড়ার ২ শত ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। সেখানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। গোয়ালের চর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে শুষ্ক মৌসুমে ড্রেজার দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে যত্রতত্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বর্ষা মৌসুমে নদীর তলদেশ ঘূর্ণবর্তার সৃষ্টি হয়। ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় এ বছর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নড়াইলের লোহাগড়া থেকে আবদুস ছালাম খান জানান, জেলার লোহাগড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদী ভাঙনের ফলে শালনগর ইউনিয়নের পুরানো মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। প্রমত্তা মধুমতি নদীর তীব্র স্রোতে গত কয়েক বছরের অব্যাহত ভাঙনের ফলে এই ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর আরো অন্তত ১২টি গ্রামে নদীভাঙন চলছে। বিলীন হওয়া গ্রামের লোকজন নদীর বিপরীত পাড়ে অবস্থিত ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ও বুড়াইচ ইউনিয়নে আশ্রয় নিয়েছে।
সরেজমিন ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুমতি নদীর তীরবর্তী শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর, শিয়েরবর গ্রাম ও হাট, চর আজমপুর, মন্ডলবাগ, চর গোপালপুর খেয়াঘাট, চাকশী, নওখোলা মিয়াপাড়া, চরশালনগর, কাশিপুর, মাকড়াইল ও চর মাকড়াইল, রামচন্দ্রপুর এলাকায় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও পাকা রাস্তা মধুমতি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। এ সব গ্রামের বসবাসকারী লোকজন নদী ভাঙনের ভয়ে তাদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কেটে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। মাকড়াইল গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ এরই মধ্যে নদীতে ভেঙে গেছে এবং ওই গ্রামে অবস্থিত বাংলালিংকের মোবাইল টাওয়ার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। উপজেলার গ্রোথ সেন্টার হিসাবে পরিচিত শিয়েরবরের হাট রক্ষার জন্য নদীতে বালুর বস্তা (জিওব্যাগ) ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও সম্প্রতি নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী হাটটি। যে কোনো সময় হাটের একটি বড় অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। একই রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নওখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা, চাকশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি মসজিদসহ শতাধিক বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে আমানত উল্যাহ জানান, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন চলছে। তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। গত এক বছরের ভাঙনে দু’উপজেলার চারটি বাজারসহ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও সহস্রাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারানোর পাশাপাশি নদী গিলে খেয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেওয়ার প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থেকে মো: রনি শেখ জানান, জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার তালতলা- ডহরী খাল (গৌরগঞ্জ) নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের বসতভিটা, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই এলাকায় বসবাসকারী মানুষের বাড়ি-ঘর ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
আউটশাহী ইউনিয়নের তস্তিপুর, শিলিমপুর, মির্জানগর, জহরপুরা, কাইচাইল গ্রামে পদ্মা এবং ধলেশ্বরীর শাখা নদী মিলিত হয়েছে তালতলা- ডহরী খালের মধ্য দিয়ে, কিন্তু গত কয়েক দিনের বন্যার পানির তোরে বিলীন হওয়ার পথে কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের বসতভিটা। দুশ্চিন্তা ও হতাশার মধ্য দিয়ে কাটছে তাঁদের প্রতিটি সময়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।