বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরে এনইপিসি পাওয়ার, ইষ্টার্ন পাওয়ার, ৪১২ মেগাওয়াট হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র আবাসিক এলাকা ও পিডিবির অধীনস্থ হরিপুর ইজিসিবিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ৩০ টি সীমানা পিলারের জটিলতা নিরসন করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের নির্দেশে সিএস জরীপ অনুযায়ী ওই সকল সীমানা পিলার স্থাপন কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আসছিল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বিআইডব্লিউটি এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন রাংসা এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে জটিলতা নিরসন করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন, উপ পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মনির হোসেন, কামরুজ্জামান টুকু প্রমুখ।
এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জে অরিয়ন ফার্মার সংলগ্ন একটি ডকইয়ার্ডসহ ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি আরএস জরিপ অনুযায়ী স্থাপিত শীতলক্ষ্যার পুরনো বেশ কিছু পিলারও ভেকু দিয়ে তুলে ফেলা হয়। কারণ ওইসকল পুরাতন সীমানা পিলারের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা দেখা দিচ্ছিল। সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটি ভেকু (এক্সাভেটর) দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং উচ্ছেদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর এলাকা থেকে রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত ২৪০০ পিলার স্থাপন করা হবে। যার মধ্যে ইতিমধ্যে ৭৬২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সিএস জরীপ অনুযায়ী অসংখ্য সীমানা পিলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে স্থাপন করতে হচ্ছে। যা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতার।
বিআইডব্লিউটিএ'র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল। সেগুলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হয়েছে। নদীর দুই পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।