Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার্থীরা মানলেও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে আসলেও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে অভিভাবকরা ভিড় করছেন। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তেমন কিছু করার নেই। সেখানে অনুরোধের বিষয় আছে, জোর করার কিছু নেই। অভিভাবকদের আমি সচেতন হতে বলব। তারা অপেক্ষা করবেন, কিন্তু অপেক্ষাটা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়। গতকাল রোববার যাত্রাবাড়ীতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্কুল-কলেজ খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়ানোর কোনা তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি জানিয়ে দীপু মনি বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার পর এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কোনো জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এখন পর্যন্ত মনে হয়নি। তবে আমাদের খুব সচেতন থাকতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একটা সমাজ তো তাদের অভ্যাস রাতারাতি বদলাতে পারে না। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে বিস্তৃতি লাভ করবে। একদিনে আমরা সব আশা করে ফেলছি তা না। সবার মধ্যে একটা চেষ্টা দেখছি। যেটা দেখেছি সেটা দিয়ে আমি সন্তুষ্ট। সবার চেষ্টা আছে। আমরা আশা করছি, আমরা একটি স্বাস্থ্যসম্মত জায়গায় পৌঁছতে পারব।
মহামারীর মধ্যে দেড় বছরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, মাত্র তো স্কুল-কলেজ খুলেছে। আমরা তথ্য নিচ্ছি। তথ্যের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কে কবে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সে সিদ্ধান্ত নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর টিকার রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তাদের ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে।
যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘুরে দেখার পর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজও পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং বাকি নিয়মগুলো মানা আসলে আমাদের অভ্যাসের অংশ ছিল না। এখন এটাকে আমাদের অভ্যাসের অংশ করতে হবে। আর অভ্যাস বদলানোটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটার জন্য সময় লাগে। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের বেশ চাপ দিয়ে এটা মানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি যে কটা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি, দেখে আমার ভালো লেগেছে। তামিরুল মিল্লাত মাদরাসায় হোস্টেলও আছে। প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আছে। দু-একটি রুমে পুরনো বই, পরীক্ষার কাগজপত্র রাখা আছে। রুমটা পরিষ্কার। কিন্তু হয়ত স্যাঁতস্যাঁতে। আমাদের সব অবকাঠামো যে খুব ভালো অবস্থায় আছে, তা তো নয়। হয়ত কোথায় কোথাও সমস্যা আছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে আমার ভালো লেগেছে, যে কটা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি।
নতুন সংক্ষিপ্ত কারিকুলামে ক্লাস শুরু হলে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ক্লাস হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এক সপ্তাহ আমরা দেখলাম। মোটামুটি সবার উৎসাহ আগ্রহ দেখলাম। নিয়ম মানবার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তাই আমরা এইট, নাইনের সময়টা বাড়ালাম। এ মাসের শেষ পর্যন্ত দেখব আমরা। তিনি বলেন, এখন ৪০ মিনিট করে ৮০ মিনিট (দুটি) ক্লাস হচ্ছে। বাবা-মায়েরা ভাবছেন, শুধু দুটা ক্লাসের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বাচ্চারা আসছে। চারটা ক্লাস করা যায় কিনা। কিন্তু চারটা ক্লাস করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে তখন খাবারের বিষয় থাকবে। এত লম্বা সময় না খেয়ে থাকতে পারবে না। তখন মাস্ক খুলতে হবে। সবার বাড়ি থেকে থেকে খাবার আনবে। খাবার শেয়ারিং হবে। এতে রিস্ক বেড়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা চিন্তা করছি, তিনটা ক্লাস নেওয়া যায় কিনা। আমরা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকব এবং বুঝতে থাকব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষামন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ