Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে কিশোরী অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় ভন্ড কবিরাজের ৪৪ বছরের কারাদন্ড

শেরপুর জেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৪৫ পিএম

শেরপুরে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় পৃথক ধারায় বাবুল ওরফে বাবুল কবিরাজ (৩১) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। ১৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে এ রায় দেন। বাবুল সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত তৈমদ্দিনের ছেলে।

কারাদণ্ডের মধ্যে আসামিকে অপহরণের দায়ে সংশ্লিষ্ট আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের দায়ে ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন (৩০) বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলমান থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল সদর উপজেলার চরশেরপুর সাতানিপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের কন্যা ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাবুল ওরফে বাবুল কবিরাজ। পরে ওই কিশোরীকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটক রেখে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করলে সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। ওই ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক বাবুলসহ চারজনকে আসামি করে সদর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ধর্ষক বাবুল। এর কিছুদিন পর ধর্ষিতার কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। ডিএনএ টেস্টেও প্রমাণিত হয় ওই সন্তানের জৈবিক বাবা বাবুল। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে একই বছরের ১২ নভেম্বর বাবুলকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল আসামি বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
পরে বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিমসহ রাষ্ট্রপক্ষের সাতজন ও আসামিপক্ষের দুইজন সাফাই সাক্ষীসহ নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার বিকেলে দুটি ধারায় একটিতে যাবজ্জীজন ও অন্যটিতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল।
পাশাপাশি ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর জৈবিক বাবা হিসেবে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আদায় সাপেক্ষে সেই শিশুর ভরণপোষণে আইনানুগ আদেশ দেন ট্রাইবুন্যাল।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. সাখাওয়াতউল্লাহ তারা বলেন, এ রায়ে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। কাজেই আসামিপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ