Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হত্যার বিচার ও ময়না তদন্তের দাবি

ভূঞাপুরে মানববন্ধন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দিনমজুর আ. জলিল হত্যার বিচার ও লাশ ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করে তার স্বজন ও এলাকাবাসী। গতকাল রোববার ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সামনে দিনমজুর আ. জলিলের স্ত্রী মোছা. বুলবুলির নেতৃত্বে তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী দিনমজুর জলিল হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। জলিলের স্ত্রী বুলবুলি জানান, আমার স্বামী স্থানীয়দের সাথে নৌকাযোগে খড় (গো-খাদ্য) ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। গত ৬ আগস্ট দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলার বড় নলছিয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাফেজ (৪৫), আব্দুলের ছেলে মিজানুর (২৫), রুস্তমের ছেলে নূর ইসলাম (৩০), সুরমানের ছেলে শাকিল (২৮), ইউছুফের ছেলে জহির (২৮), মজনুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), জানি’র ছেলে পরবত (৩৫), চেরাগ আলীর ছেলে লাল চাঁন (৩৩) আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে খড় ক্রয় ও বিক্রয়ে যাওয়ার জন্য তাগাদা করে। আমার স্বামী তাদেরকে বলে আমি তো গতকালই তোমাদের বলে দিয়েছি আমি আজকে যাবো না। পরে তাঁরা একপ্রকার জোর করেই আমার স্বামীকে নিয়ে যায়। আমাদের কোন মোবাইল ফোন না থাকায় তাঁর সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। ৫দিন পর (০১৭৩১-১৯২৩০২) এই মোবাইল নাম্বার থেকে জানায় আমার স্বামী খড় বিক্রি করতে সিরাজগঞ্জে জেলার চৌহালী বাজারে গেছে। এর পরদিন হাফেজের স্ত্রী আমার বাড়িতে এসে আমাকে জানায় তোমার স্বামী পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ সংবাদে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে আমার দেবর মুসা ও জাহাঙ্গীর তাঁর খোজ নেয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালীর খগেন ঘাটের দিকে রওনা দেয়। ভোর রাতের দিকে আমার স্বামীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। আমার স্বামীর লাশ বাড়িতে আনার পর তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন দেখতে পাই এবং ভূঞাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করি। কিন্ত আসামিগণ জোরপূর্বক তাঁর লাশ দাফন সম্পন্ন করে। আমার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ভূঞাপুর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন করি। কিন্তু ভূঞাপুর থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ না করে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানায় মামলা দায়েরের কথা বলে। আমার বিশ্বাস আসামিগণ পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য আসামিগণের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি ভূঞাপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি আমার স্বামীর লাশ কবর থেকে উত্তোলণ করে ময়নাতদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুল ওহাব জানান, টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালত মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সমস্ত তথ্যাদি চেয়েছে তা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ