পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার মতোই আরেকজনকে সরকার খুঁজতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনই তো নাই। যারা নির্বাচন নিয়ে লেখালেখি করছেন, যারা গবেষণা করছেন, তাদের গবেষণা থেকে আমরা দেখছি, ৫০ বছরে এ আইন তৈরিই হয়নি। প্রেসিডেন্টই রাষ্ট্রের অভিভাবক, তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন। কিন্তু তিনি কি তা পারছেন?
আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র ফোরামের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আমরা কদিন আগে দেখলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আর সংবিধান বলছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। তাহলে সারসংক্ষেপ তো রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার কথা! কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এতোই ক্ষমতাশালী যে, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার ওপরেই তার হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র ও প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে কোনো কাজ করতে পারে? করতে পারেই না। অথচ ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ সাহেবরা বলেন, নির্বাচন কমিশনার আইন অনুযায়ী নিয়োগ হবে। আইনই যেখানে নেই, সেখানে আইন অনুযায়ী হবে কীভাবে? এ থেকেই সরকারের উদ্দেশ্যটা বোঝা যায়।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও নিজেই একটি স্বাধীন সত্তা। সেই স্বাধীন সত্তার যে ক্ষমতা, অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নিজেই আত্মসমর্পণ করতে চান। এ ধরনের নুরুল হুদাদেরই খুঁজে আনতে চান আপনারা। এজন্য নানা ধরনের কথাবার্তা বলছেন। কারণ, নিশিরাতে প্রতিদ্বন্দ্বিহীন নির্বাচন জায়েজ করবে কে? এজন্য নুরুল হুদাকে আপনাদের খুব বেশি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংককে সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা কয় টাকা বেতন পান? বাংলাদেশ ব্যাংককে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। অনেকের মাস গেলে খাওয়ার পয়সা থাকে না, অথচ তাদের চেক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সামনে নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচন নিয়ে সরকার নানা ধরনের অরাজকতা করবে। অপতৎপরতা চালাবে। এসব নিয়ে যেন সাংবাদিকরা না লেখেন, যেন সংবাদ প্রচার না করেন। এজন্যই বাংলাদেশ ব্যাংককে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ- অবরুদ্ধ থাক, কথা বলো না, কণ্ঠস্বর নিচু রাখো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।