পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা আক্রান্ত হয়েও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান। গত ১৩ সেপ্টম্বর সোমবার নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় হাই কমিশনারের পাশে অবস্থান করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমএসডি’র একাধিক কর্মকর্তা জানান, ওই দিন এবং আগের দিন রোববার পরিচালক জ্বর জ্বর বোধ করছিলেন। অনুষ্ঠানের একদিন পর তিনি অফিস আদেশে করোনা পজেটিভের কথা জানিয়ে আইসোলেশনে যাওয়ার কথা জানান। অথচ লক্ষণ থাকলেও শারীরিক কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তিনি অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার এর সংস্পর্শে আসেন। এ যেন শর্ষের ভেতরেই ভূত। যারা করোনা রোগীদের কারো সংস্পর্শে না আসার পরামর্শ দেন; তিনি নিজেই করোনা রোগী হয়ে মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিশিষ্টজনদের পাশে দাঁড়ান। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে তিনি মাস্ক খুলে বক্তব্য রেখেছেন।
সিএমএসডি’র কর্মকর্তাদের এ বক্তব্যের সত্যতা মিলিছে সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত ওই অফিস আদেশে তিনি করোনা আক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তবে সেখানে তিনি বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ সেপ্টম্বর থেকে আইসোলেশনে গমনপূর্বক চিকিৎসাধীন বিধায় পূর্ণ সুস্থ হয়ে কর্মে যোগদান না করা পর্যন্ত ডা. তউহীদ আহমদ (উপ-পরিচালক সিএমএসডি) নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পরিচালকের দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।’
পরিচালকের করোনায় আক্রান্তের বিষয়ে পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া উপ-পরিচালক ডা. তউহীদ আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি (অসুস্থতা) তার ব্যক্তিগত এবং তাকে পরিচালক দায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি অফিসিয়াল তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি। তবে রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী, সচিব এবং অন্য একটি দেশের হাই কমিশনারের উপস্থিতিতে করোনার লক্ষণ নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কতোটা যুক্তিসঙ্গত জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে অপারাগতা প্রকাশ করেন।
অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গেছে, সবার মাঝে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, তার ডান পাশে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাম পাশে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম অবস্থান করছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেছেন, সিএমএসডি পরিচালক এটা করতে পারেন না। যদি এটা সঠিক হয়, তাহলে তিনি অন্যায় করেছেন। কারণ এখানে আমাদের একজন অতিথি ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীও ছিলেন। যিনি সিএমএসডি পরিচালকের পাশেই ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।