পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার ৪৬০কোটি টাকার মালিক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রার মামলায় ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানার মাদক মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে নুরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া। পাশাপাশি তিনি জাল টাকা ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ জাল টাকা, তিন লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ও নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে চুক্তিভিত্তিক দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন নুরুল ইসলাম (৪১)। ওই চাকরি দিয়ে শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় ৪৬০ কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। এই টাকা দিয়ে তিনি সাভারে একটি রিসোর্ট ও বন্দরে একটি জাহাজ কিনতে চেয়েছিলেন।
টেকনাফ বন্দরের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুরুল ইসলামকে গ্রেফতারের সময় তিন লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, তিন লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমার মুদ্রা, চার হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং নগদ দুই লাখ এক হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানা, নুরুল ইসলাম ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে দৈনিক ১৩০ টাকা হারে কম্পিউটার অপারেটর পদে চুক্তিভিত্তিক চাকরি পান। বন্দরে চাকরির অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তিনি চোরাকারবারী, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালি ইত্যাদির কৌশল রপ্ত করেন। এক পর্যায়ে নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তিনি বন্দরে বিভিন্ন রকম দালালি সিন্ডিকেটে যুক্ত হন। এমনকি একটি সিন্ডিকেটও তৈরি করেন। এরপর ২০০৯ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ওই সময় তারই আস্থাভাজন একজনকে ওই কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দালালি সিন্ডিকেটটির নিয়ন্ত্রণ রাখেন নিজের হাতে। এভাবে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।