পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইমাম হিসেবে নিয়োগ নেয়ার ঘটনায় পেশ ইমাম হাফেজ মিজানুর রহমানের বেতন-ভাতা ফেরত প্রদান সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে আদেশ কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়।
রিটের পক্ষের আইনজীবী আব্দুল কুদ্দুস জানান, ২০১২ সালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন হাফেজ মো. মিজানুর রহমান। বর্তমানে তিনি জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমামের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ক খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারের অডিট বিভাগের এক প্রতিবেদনে, জাতীয় মসজিদের এ ভারপ্রাপ্ত খতিবের বিরুদ্ধে বয়স জালিয়াতি করে ইমাম পদে নিয়োগপত্র গ্রহণের তথ্য উঠে আসে। সেখানে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ১৯৭৭ সালের ১৬ মে। অথচ মিজানুরের শিক্ষাগত সব সার্টিফিকেটে তার জন্ম সাল ১৯৭৪ সালের ১৬ মে। বয়স ৩ বছর কমানোয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে নিরীক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে নেয়া সব বেতন-ভাতা ফেরত প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে, এ নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে ২০১৬ সালেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক। তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন। অভিযাগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। তবে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তদন্তে আগ্রহ না দেখিয়ে আবেদনটি ৫ বছর ফেলে রাখা হয়। এ প্রেক্ষাপটে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক। শুনানি শেষে পেশ ইমাম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা বয়স জালিয়াতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে করা আবেদন নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।