পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশান্সের (ডিএইচ) ব্র্যান্ড এবং স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল সেবাদানে অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটাল গ্রামীণ অঞ্চলে চালু করছে ৩০টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বুথ। যার মাধ্যমে এসব এলাকার মানুষ এখন খুব সহজেই তাদের স্থানীয় ডিজিটাল হেলথ সেন্টার (ডায়াগনোস্টিক/ফার্মেসি/ক্লিনিক) থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ঢাকার বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারবেন। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, ত্বক, শিশু, হৃদরোগ ও এন্ডোক্রিনোলজি সহ ২০টিরও বেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকবেন এই সেন্টারগুলোতে। স্ত্রী ও শিশুরোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল হসপিটাল গ্রামে বসবাসকারী নতুন মা, বাবা ও শিশুদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারি সেবার মাধ্যমে সহায়তা করতে প্রত্যাশী। এর পাশাপাশি রোগীদের আর কষ্ট করে ঢাকায় এসে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না এবং তাদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যাচ্ছে।
সাধারণত গড়ে একটি পরিবারের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণসহ যাতায়াত ও থাকতে ৫,৩৩৮ টাকা খরচ হয়। ফলে, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের রোগীর বাসস্থানের কাছে নিয়ে যাওয়াতে, তাদের চিকিৎসা সেবার খরচও কমে আসছে।
দেশজুড়ে এমন অনেক রোগী আছেন যাদের সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করা দরকার। কিন্তু যেহেতু বেশির ভাগ ডাক্তারই ঢাকাকেন্দ্রিক, তাই এই রোগীদের স্ত্রীরোগ/ শিশু/ হৃদরোগের মতো সমস্যায় সঠিক ও মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক ডায়াগনোসিস রোগীদের বিভিন্ন ধরণের জটিলতা এড়াতে ও দ্রুত সুস্থ হতে অনেক সাহায্য করে।
তাই, ডিজিটাল হসপিটালের লক্ষ্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীদের জন্য মানসম্মত চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে তোলা।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা তৈরি ডক্টর বুথগুলোর মাধ্যমে রোগীরা খুব সহজেই ডাক্তারের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করতে পারবেন। বুথগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ডাক্তারের শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও রোগীরা সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন।
এছাড়াও, রোগীদের যেকোন প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্য উপস্থিত থাকবেন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সহায়তাকারী। পাশাপাশি, ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা সকল টেস্ট রোগীরা সেই ডিজিটাল হেলথ সেন্টার থেকেই বিশেষ ছাড়ে করাতে পারবেন।
চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে রোগী ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের কর্মীদের সুসাস্থ্যের কথা চিন্তা করে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শের ফলে ডাক্তাররা সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি তাদের বাসা থেকেই যে কোন জায়গার রোগীকে সেবা দিতে পারছেন।
২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসে, ডিজিটাল হসপিটাল স্ত্রীরোগ, হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞদে্র মাধ্যমে ৫ হাজারেরও বেশি কনসালটেশন দিয়েছে। এবং এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বুথ চালু করার মাধ্যমে এই সেবাটি এখন আরও অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। ২০২১ সালের শেষে সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ধনী-গরীব ও গ্রামাঞ্চল-শহরাঞ্চল ব্যবধান দূরীকরণে মোট ৩০টি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বুথ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, খুলনার ডুমুরিয়া, দিনাজপুরের বিরাম্পুর ও কুমিল্লার বুড়িচং এর মতো বিভিন্ন এলাকায় চালু করা হচ্ছে। কেননা, সুস্বাস্থে সবারই অধিকার রয়েছে।
বর্তমানে ডিজিটাল হসপিটাল উপ-শহর ও থানা পর্যায়ে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। কিন্তু আগামীতে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও চর এলাকায়ও ডিজিটাল হসপিটাল এর সেবা পৌঁছে দিবে। ডিজিটাল হসপিটাল বিশ্বাস করে, ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) সবার অধিকার এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশান্সের সিসিও অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, “বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষেরই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে অনেক লম্বা ও ব্যয়বহুল সফর করতে হয়। কিন্তু আমরা এখন এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তাদের বাসার কাছের ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে কিংবা ফার্মেসিতে নিয়ে যাচ্ছি। ফলে, এখন অনেক মানুষই খুব সহজেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারবেন। পাশাপাশি, ডিজিটাল হসপিটালের এই উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির ক্ষেত্রেও একটি বিশেষ ভুমিকা রাখবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।