Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই

সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য বিসিএস বাদে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখ নির্ধারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। বিএনপির সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে। এতে করে যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ছয়-সাত বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দু-এক বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

তিনি আরো জানান, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য বিসিএস বাদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখ নির্ধারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

ওই এমপির অপর এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন জানান, দেশে বর্তমানে ১৭০ জন কর্মকর্তা চুক্তিভিত্তিক কর্মরত আছেন। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের মধ্যে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

সরকার দলীয় সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের সুপারিশ করে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের রিকুইজিশনে বিভিন্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। ২৮তম থেকে ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে পিএসসি। একই সময়ে নন-ক্যাডারে প্রথম শ্রেণির পদে পাঁচ হাজার ১৪৩ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির (১০, ১১ ও ১২তম গ্রেডে) পাঁচ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডে চার হাজার ২৮৫ জনকে এবং দ্বিতীয় শ্রেণির (১০, ১১ ও ১২তম গ্রেড) বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে ৩২ হাজার ৭৬৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • মমতাজ আহমেদ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:১৪ এএম says : 0
    বিষয়টি আবারও বিবেচনা করার অনুরোধ রইলো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ