রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগর হিসেবে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও খ্যাতি পৌছেছে নওয়াপাড়া নদী বন্দরের। এ বন্দর ঘিরে গড়ে উঠেছে শতশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। বন্দরটিতে বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার আমদানিকৃত পণ্য খালাস হয়। এছাড়া অন্যান্য পন্য সামগ্রী মিলে মোট ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের পণ্য খালাস হয় এ বন্দরে। এ বন্দরকে ঘিরে নওয়াপাড়া দেশের বৃহত্তম সারের মোকাম হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। যদিও নানা জটিলতার কারণে সংকুচিত হয়েছে নওয়াপাড়ার সারের মোকাম। তবুও দেশের প্রায় অর্ধেক সার এখনও এ বন্দরে খালাস হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছায়। কেবল সার নয় এ বন্দরে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত শ’ শ’ কোটি টাকার খাদ্যশষ্য, কয়লা ও পাথর খালাস হয়ে থাকে। এ বন্দরকে ঘিরেই এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট বড় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প। তাছাড়া নানামুখি ব্যবসার প্রসার ঘটেছে ছোট্ট নদ ভৈরবকে ঘিরে।
ছোট একটি শহরকে ঘিরে দিনভর যেন এক বৃহৎ ব্যস্ত নগরী। চারিদিকে ব্যবসায়ীদের তুমুল ব্যস্ততা, ব্যাংক, বীমা ও অর্থলগ্নীকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হৈ চৈ। শ্রমিক কর্মীদের ঘর্মাক্ত ছুটেচলা। এর মাঝেই দিনের পর দিন বৃহৎ এক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে নওয়াপাড়া বন্দর নগর। যেখান থেকে সরকার আয় করছে কয়েকশ’ কোটি টাকার রাজস্ব। দেশের উন্নয়নে নওয়াপাড়া নদী বন্দর এ অসামান্য অবদান রেখে চলেছে বছরের পর বছর। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে নওয়াপাড়া নদী বন্দরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
যশোর ও খুলনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত নওয়াপাড়া একটি ছোট্ট শহর। নওয়াপাড়া শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে খুলনা-ঢাকা মহাসড়ক, খুলনা থেকে ঢাকামুখি যেতে বাঁপাশে খুলনা-ঢাকা-বেনাপোল রেললাইন, আর ডানে ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদ। এক সময়ের খোরগ্রোতা ভৈরব। ত্রি-মুখি যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন সুদৃশ্য মেলবন্ধন দেশের অন্য কোন শহরে মেলানো ভার।
স্থানীয়রা জানান, ভৈরব নদকে ঘিরেই নওয়াপাড়া, ভৈরব নদই নওয়াপাড়ার প্রাণ। ভৈরব নদকে কেন্দ্র করেই বেঁচে আছেন এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। কেবল এ অঞ্চলেরই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজারও মানুষ এ নদকে ঘিরে গড়ে ওঠা বন্দর শহরে পেয়েছে বেঁচে থাকার ঠাঁই। ভৈরব নদই মায়ের মতো আগলে রেখেছে জনপদ।
নওয়াপাড়া শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত ভৈরব নদ হয়ে গেলে দু’পাড়ে কেবল দেখা মিলবে শ’ শ’ কার্গো জাহাজের সারি। সেই সাথে শতশত পণ্যবাহী ট্রলার ও বোট। সার, সিমেন্ট, কয়লা, ভুট্টা, খৈল, ভূষি, চাল, ডাল, গম চিনিসহ হরেক রকমের পণ্য কার্গো জাহাজ থেকে খালাসে ব্যস্ত হাজার হাজার ঘাট শ্রমিক। এতটুকু ফুসরৎ নেই কারও। সারি বাধা জাহাজগুলোর কোনোটিতে কয়লা, কোনোটিতে সার, কোনোটিতে গম। বস্তা বা ঝুঁড়িতে ভরে এসব পণ্য মাথায় নিয়ে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে জাহাজ থেকে নামছেন শ্রমিকেরা। বিরাট এই ব্যবসাযজ্ঞ হচ্ছে যশোরের ছোট্ট একটি উপজেলা শহর নওয়াপাড়াকে ঘিরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।