বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি এবং ১৮টি বিদ্যালয়ের মাঠ এখনও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর, পর্যন্ত জেলার ৩০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন খেলা সম্ভব হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর, থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান খুললেও ফরিদপুর জেলার ৩০টি বিদ্যালয় খোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম শঙ্কা।
এর মধ্যেই ফরিদপুর সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
গত শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চরভদ্রাসন উপজেলার মোট ১৭টি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি নিমজ্জিত । এর মধ্যে সাতটি বিদ্যালয়ের ভেতরে এবং বাকি ১০টি বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও পানি থাকলেও আজ ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পানি একটু কমতে শুরু করছে।
সদরপুরে উপজেলায় ১২টি বিদ্যালয়ে এবং ফরিদপুর সদরে একটি বিদ্যালয়সহ মোট ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে এবং মাঠে পানি থাকার কারনে পাঠদান একবারেই অনুপোযোগী হয়ে গেছে। গতকালও ছিল বন্ধ।
এ বিষয় চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্লা ইনকিলাবকে। বলেন, তার উপজেলার যে সাতটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে, বিদ্যালয়গুলো হলো, মোল্লাডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাজের খাঁর ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল বারী খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মণ্ডলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হুকুম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সারদী বিশ্বাসের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সদরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক মিয়া ইনকিলাব বলেন, সদরপুর উপজেলার ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। এর মধ্যে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষের ভেতরে পানি ঢুকেছে। বাকি ৮টি বিদ্যালয়ের মাঠে এখনও পানি।
তিনি বলেন, যে চারটি বিদ্যালয়ের কক্ষে পানি ঢুকেছে, সে চারটি বিদ্যালয় হলো কাঁচিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামাল সিকদারের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাড়ালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ফরিদপুরে তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্কুল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলের কক্ষে পানি ঢুকেছে। তবে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করছি স্কুলগুলো দ্রুতই পাঠদান উপযোগী করা যাবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা ইনকিলাবকে বলেন, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির প্রবণতা কমেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।