পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আজ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনাকালীন দর্জিদের কাজ প্রায় বন্ধ থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় তাদের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে তৈরি করতে হচ্ছে পোশাক। ফলে শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের দর্জিরা। একাধিক টেইলার্সের মালিক জানালেন, ঈদুল আহজার সময়ের চেয়েও এখন জামা কাপড় তৈরির চাপ বেশি। ফলে অনেক টেইলার্স মালিক কারিগর ভাড়া করে জামা কাপড় বানাচ্ছেন।
সারাদেশের সরকারি প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুল, কলেজ ও মাদরাসা খুলছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী। দীর্ঘ দেড় বছর ঘরে বসে থাকায় ছাত্রছাত্রীদের জামা কাপড় ছোট হয়ে গেছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন জামা কাপড় ও জুতা কিনছেন। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ড্রেস রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সবারই নতুন করে পোশাক তৈরি করতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব এলাকায় দর্জিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্কুল খোলার আগের দিনই তাদের পোশাক তৈরির কাজ শেষ করতে হবে।
মিস আসমা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলে তাসলিমকে দুই বছর আগে আদর্শ স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করেছিলাম। সে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছে। তখন এক পোশাকে ক্লাস করেছে। করোনাকালীন প্রায় দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। এ সময়ে তাসলিম আগের চেয়ে অনেক বড় হয়েছে। ফলে আগের পোশাক এখন তার শরীরে লাগছে না। নতুন করে ছেলের পোশাক তৈরি করতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বলেন, নতুন করে পোশাক তৈরির জন্য অভিভাবকরা প্রতিদিনই স্কুলের নামে তৈরি মনোগ্রাম নিতে ভিড় করছেন। প্রতিদিনই স্কুলের অফিস খোলা রেখে মনোগ্রাম দিতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে উৎসাহ কাজ করছে।
ঢাকার শনির আখড়ার একটি টেইলার্সের মো. শাওন বলেন, স্কুল ড্রেস তৈরির অনেক কাজ এসেছে। প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। সময় মতো দিতে না পারলে আবার অন্য সময় কাজ পাবো না। তাই পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটছে। আরেক টেইলার্সের মালিক বলেন, করোনায় তেমন কাজকর্ম ছিল না। স্কুল খোলার ঘোষণার পর কাজকর্মে গতি ফিরেছে। একের পর এক পোশাক তৈরির অর্ডার আসছে। ফলে চরম ব্যস্ত সময় পার করছি। আশা করি স্কুল খোলার পর আরও বেশি অর্ডার আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।