পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রবাসী কর্মীরা করোনাভাইরাস মহামারির টিকার দাবিতে রাজপথে নেমেছে। গতকাল শনিবকার সকাল সাড়ে ৯টায় টিকা না পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ টিকা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী কর্মীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিলে পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সেখানে তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করার মাধ্যমে তাদের আন্দোলন শেষ করেন।
চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে টিকা নিতে আসা নাইম ইসলাম নামে এক প্রবাসী বলেন, ২ মাস আগে আমি টিকার জন্য নিবন্ধন করেছি। গত ৬ সেপ্টেম্বর আমার মেসেজ আসছে, এরপর দিন আমি এখানে আসি। ওই দিন আমাকে টিকা দেয়া হয়নি। তখন আমাকে শনিবার ১১ সেপ্টেম্বরে আসার কথা বলে দেয়। সেই কথা মতো আজ ফজরের পর আমি এই টিকা কেন্দ্রে এসেছি। এসে লাইনে দাঁড়াই। এরপর বলছে আমাদের গতকালও টিকা দেয়া হবে না।
ফরিদপুর সদরপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে আসা চম্পা খাতুন বলেন, আমি বুধবার গ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। গতকাল আমার টিকা দেয়ার তারিখ ছিল। বসুন্ধরা আমার এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে ভোর ৫টার সময় টিকা কেন্দ্রে আসি। এখন বলছে টিকা দেয়া হবে না। এরপর কবে যে টিকা দেয়া হবে তার নির্দিষ্ট করে বলছে না। এখন গ্রামে চলে যাওয়া ছাড়া আর কী করব? ১৯ অক্টোবর আমার ছুটি শেষ। আমি এখনও এক ডোজও টিকা নিতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে। সবাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। তারা সবাই এজেন্সিতে টাকা দিয়ে রাখছে। আমাদের এই ভোগান্তি হয়রানি করছে। আমাদের সেভাবে কোনো আশ্বস্তও করছে না কবে টিকা পেতে পারি। আমরা দাবি জানাচ্ছি প্রবাসীদের যেন দ্রুত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করতে থাকা কামরুজ্জামান নামে এক প্রবাসী বলেন, তিনি সোনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলা থেকে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন। গত সোমবার আমার মেসেজ এসেছে আজকে টিকা নেয়া তারিখ উল্লেখ করে। আজ সকালে এখানে এসে লাইনে দাঁড়াই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের বলা হয় আজ টিকা নেই। এর আগে যেদিন টিকার জন্য আসি তখন তারা বলে দেয় যে গতকাল শনিবার আসলে আমরা টিকা পাব। কিন্তু আজকে আমরা আসার পরে তারা আমাদের বলে ভ্যাকসিন নেই।
শহীদ মিনার থেকে একপর্যায়ে তারা দল বেঁধে জাতীয় প্রেসক্লাবে যায় মিছিল নিয়ে। সেখানে তারা কিছুক্ষণ আন্দোলন করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক কর্মকর্তা তাদেরকে ৩ দিনের মধ্যে টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করে দেবে আশ্বস্ত করলে তারা যার যার বাড়ি ফিরে যান। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রবাসীকেই গতকাল প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার জন্য এসএমএস দেয়নি। যারা এসেছেন তারা পূর্বের তারিখে টিকা নেয়ার দিন ছিল। তখন তারা বিভিন্ন কারণে আসতে পারেনি, এখন তারা এসে টিকা নিতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে প্রথম ডোজ সিনোফার্ম আছে, আমরা তাদেরকে সিনোফার্ম টিকা নিতে অফার করেছি যে, সিনোফার্ম আমাদের এখানে চলমান আপনারা এটা নিতে পারেন। কিছু প্রবাসী যাদের সিনোফার্মা নিলে চলে, যেমন থাইল্যান্ড, ওমান প্রবাসী তারা সিনোফার্মা নিচ্ছে। আর যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার, ফাইজার ও মডার্না না নিলে চলবে না তাদেরকে আমরা বলছি আপনারা খবর রাখেন যখন সরকার এগুলো চালু করবেন তখন আপনারা আসবেন তখন আমরা দেবো। তবে দুপুর পর্যন্ত অনেক প্রবাসীকে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের টিকা কেন্দ্রের পাশে বসে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এদিকে, মেসার্স রাজধানী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সউদীগামী মহিলা কর্মী মেহের আক্তার সাথী গত ১৭ আগস্ট টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করলেও অদ্যাবধি টিকার মেসেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার সউদীর ভিসার মেয়াদ আর মাত্র দেড় মাস বাকি। এর মধ্যে দু’ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব না হলে সে বিদেশ যেতে পারবে না। সাথী বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।