Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহারের আগে নির্বাচন নয়: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৮ পিএম

দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মামলা প্রত্যাহারের আগে কোনো নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন হবে না। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে বাদ দিয়েছেন। শুধুমাত্র আজীবন আওয়ামী লীগ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য। যেই নির্বাচনে আগের রাতে ভোটকেন্দ্র দখল করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই বাংলাদেশে আর সেরকম নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন হবে ঠিক যখন সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যবস্থা করা হবে। সেই কমিশনের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। আর তার আগে অবশ্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি রাখা নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। আর ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তার আগে কোনো নির্বাচন হবে না।

ফখরুল বলেন, আজকে আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ১৯৭১ সালে স্বাধনীতা যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা যে অধিকারগুলো অর্জন করেছিলাম, আজকে সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছ। ১৯৯০ সালে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম, সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রকে একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। যেখানে মানুষের কোনো অধিকার নেই, মানুষ তার কোনো অধিকার পূরণ করতে পারছে না। এমনকি জনগণ তাদের ভোটও দিতে পারছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে ব্যবস্থা, সেই ব্যবস্থাকে আমরা এখন পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে পারিনি। কার জন্য পারিনি? আওয়ামী লীগের জন্য পারিনি। কারণ এই সরকার চায় দেশে একটিমাত্র দল থাকবে, একটিমাত্র পরিবার থাকবে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে এদেশের মানুষ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদে সেটা পাশ করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। ফলে তারা চিন্তা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমরা কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারবো না। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটাকে একতরফাভাবে বাদ দিয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এমনকি আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ সালে এর পক্ষে ছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরাজীবন মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। আজ তিনি গৃহবন্দী। এই মহান নেত্রী বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে অবদান রেখেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৫৬ পিএম says : 0
    1990তে যে গণঅভ্যুত্থান করেছেন,দলীয় করার জন্য আপনারা আওয়ামী লীগ বি এন পি করেছেন,1990 এর আগে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি ছিল,যখন আপনারা দেখলেন ইসলামী দলগুলো অগ্রগামী হতে চলেছে শত করা সাততিরিশ% ভোট তাহারা পাইতেছে ,তখন আওয়ামী লীগ বি এন পির মাথাব্যথা আরম্ভ হয়ে গেছে,সর্বনাশ ইসলামী দলগুলো এই ভাবে এগিয়ে আছে,সামনের দিনে আরও বেশী ভোট পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে,যদি ইসলামী দলগুলো অগ্রগামী হয়ে ক্ষমতায় চলে যায়,সর্বনাশ হয়ে যাবে,আপনারা আওয়ামী লীগ কে সাথে নিয়ে সংগ্রাম আরম্ভ করলেন,অযথা এরশাদ কে ক্ষমতাচুত করেছেন,পরবতীর্তে আপনারা দুই দল চিন্তা ভাবনা করলেন কি করা যায়,কি ভাবে সারা জীবন আমরা দুই দল ক্ষমতায় থাকতে পারি,আজীবনের জন্য খমতায় থাকতে হলে দলীয় করতে হবে,সংসদীয় পদ্ধতি এইটি করলে সব কিছু দলীয় হয়ে যাবে,আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর থাকবে নতুবা আপনারা বি এন পি ,আর কেউ যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে,আপনারা দুই দল মিলে গেলেন টেলিফোনে আলাপ চলে আপা আপনি কেমন আছেন আমি ভালো আছি তুমি কেমন,এরশাদকে বিদায় দিলাম এখন কি করবেন,ঠিক আছে আসেন এক জায়গায় বসি কি করা যায়। কোথায় বসবেন আপনি যেখানে বলবেন সেখানে,তাইলে চলুন বংগে ভবনে বসি ওকে বসলেন ,সবাই আপনাদের অপেক্ষায় কি বার্তা দিবেন,খবর নাই আবার আপা কোথায় আছেন কি করেন ভালো আছি,আচ্ছা আজকে কোথায় বসবেন আপনি বলুন,ঠিক আছে সুগন্ধায় বসবে ঠিক আছে আপা,বিকাল থেকে রাত্রি দশ টা পযন্ত,জনগণ তাকাইয়া আছেন কি সিদ্ধান্ত হবে,হয় নাই,পরের দিন আবার আপা আজকে বসে সিদ্ধান্ত করে ফেলবে ,কোথায় বসা হবে,এক কাজ করেন আপা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বসেন ওকে আসেন,বসলেন কথা আরম্ভ করলেন,যুক্তি দিলেন,দেখেন এই দেশ শতকরা 90%মুসলিম আমরা মহিলা রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি থাকলে আমরা রাষ্ট্র পতি মেনে নিবে না জনগণ,আপা কি করা যাবে গুড আইডিয়া এক কাজ করি রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করে সংসদীয় পদ্ধতি করলে,আমাদের সারা জীবনের জন্য কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না,তূমি পাঁচ বসর আমি পাঁচ বসর,এই বলে সংবিধান সংশোধন করে দলীয় আমলাতান্ত্রিক দল করেছে,এখন ক্ষমতার লোভে কেউ কাউকে চিনতে পারে না,কিন্তু দুর্ভাগ্য শুধু জনগণের আমরা জন গন 1990এর জায়গায় পিরে যেতে চাই,এই সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করা হউক,সংসদীয় পদ্ধতি হলো দলীয় জনগণের অধিকার নেই,আমরা রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চাই,যে ক্ষমতায় আসবে লুঠ পাঠ করে খাবে তাহা আর হবে না,গরিব গরিব হবে আর বড় লোক আরো বড় হবে এই সংসদীয় পদ্ধতির দরকার নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ