Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফতুল্লায় ২জনকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, কথিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:১১ পিএম

ফতুল্লার ভোলাইলে মুক্তিপণ আদায়ে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ অপর এক গার্মেন্ট শ্রমিককে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে কথিত ছাত্রলীগ নেতা পলাশ দাস (২৩) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় আটকে রাখা কিশোরী গার্মেন্ট শ্রমিক সোহানা খাতুন (১৬) ও তার সহকর্মী জসিম উদ্দিন জিসান (১৯) কে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগরস্থ একটি রিক্সার গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ পলাশকে গ্রেপ্তারসহ আটকে রাখা দুই গার্মেন্টস কর্মী কে উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত পলাশ দাস ফতুল্লা থানার ভোলাইল শান্তি নগরের নির্মল দাসের পুত্র ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহানা খাতুনের বড় বোন নাসরিন খাতুন বাদী হয়ে পলাশ দাস ও ভোলাইল শান্তিনগরের বড় মসজিদের লিয়াকত আলীর পুত্র মো. হিমেলের (২৬) নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয় যে, বাদীর ছোট বোন বিসিকস্থ মার্টিন নীট ওয়্যার লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করিয়া আসিতেছে। প্রতিদিনের মতো তার ছোট বোন সকাল ৮ টার দিকে নিজ কর্মস্থলে যায়।

রাত ৮ টার দিকে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর বাদীর ছোট বোন জিসান নামক তার এক সহকর্মীকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনের রাস্তা থেকে জোড় পূর্বক তাদেরকে আসামীরা ভোলাইল শান্তিনগরস্থ একটি রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে যায়।

সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে বাদীর মোবাইল ফোনে ফোন করে জানায় যে তার বোন কে একটি ছেলের সাথ পেয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সে তার বোনকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ছোট বোনের মুক্তিপণ হিসেবে তার নিকট বিশ হাজার টাকা দাবী করা হয়।

কোন উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি ফতুল্লা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখা বাদীর ছোট বোন ও তার সহকর্মীকে উদ্ধারসহ কথিত ছাত্রলীগ নেতা পলাশ দাসকে আটক করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় পলাশ দাসের সহযোগীরা।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, ছুটি শেষে সহকর্মীকে নিয়ে ভোলাইল শান্তিনগরস্থ নিজ বাসায় ফিরছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক সোহানা।

এসময় বাসার সামনে থেকে গার্মেন্টস ফেরত ঐ দুই শ্রমিককে একটি রিক্সার গ্যারেজে নিয়ে আটকে রেখে সোহানার পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণ বাবদ টাকা দাবী করা হয়।


সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পলাশ দাস নামক একজনকে আটকসহ আটকে রাখা দুই গার্মেন্ট শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছ বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারায়ণগঞ্জ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ