প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ২০১৬-এর ১ জুলাই-এর ভয়াবহ জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে বলিউডে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা 'ফারাজ'। গত মাসে ভারতীয় পরিচালক হাসনাল মেহতা সিনেমাটির ঘোষণা দেন। কিন্তু সিনেমাটি হোক সেটা চাইছেন না ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবার। সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিজ্ঞাপ্তিতে নিহতদের পরিবার এমন মন্তব্য জানান।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে হলি আর্টিজানের ঘটনায় এক নিহতের পরিবারের সদস্য বলেন, ‘সেই ভয়াবহ রাতের ঘটনাটি কোনো অবস্থাতেই আমাদের দেশ, আমাদের জাতি ও আমাদের ধর্মকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। বরং এরকম একটি ঘটনার সিনেমার মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি মানুষের বিশ্বাসে বিরূপ ধারণার জন্ম দেবে যা সর্বোপরি আমাদের দেশের প্রতি অবিচার এবং দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে। ’
সিনেমাটিতে প্রকাশিত টিজার ও নাম থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, এতে সেই রাতের ঘটনায় নিহত ফারাজকে কেন্দ্র করে নির্মিত– যিনি ঘটনার সময়ে তার দু’জন বন্ধু অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের সঙ্গে ক্যাফেতে উপস্থিত ছিলেন। তারা তিনজনই নির্মমতার শিকার হয়ে ওই রাতে প্রাণ হারান। অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের পরিবার সিনেমাটি নির্মাণ কাজ দ্রুত বন্ধে নির্মাতা হানসাল মেহতা ও সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওই রাতের ঘটনা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য শোকের কারণ, যা আমরা প্রতিনিয়ত বহন করে চলেছি। এরকম একটি ঘটনা যা মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। অবিলম্বে সিনেমাটির চিত্রায়ন চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিৎ।’
এছাড়া সিনেমাটি নির্মাণের পূর্বে নির্মাতা এবং সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থা হামলায় নিহত ব্যক্তিদের কারো পরিবারের কাছ থেকে কোনো প্রকার সম্মতি গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উপরন্তু, সিনেমাটির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান, এটি ইসলাম ধর্মকে অপব্যাখা করে এবং হামলায় নিহতদের আত্মত্যাগের স্মৃতির প্রতি অসম্মানজনক বলেও মত প্রকাশ করেন নিহতদের পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।