বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের ডিবি পুলিশ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ১০ সদস্যকে আটক করেছে। এ সময় চারটি জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি মাষ্টার চাবি, মোটরসাইকেল বিক্রির কুরিয়ার সার্ভিসের রশিদ এবং মোটরসাইকেল বিক্রির ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত ১০জন হলো: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির পারকোপরা গ্রামের মতি মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম (৩০) ভাড়াটিয়া যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মাঠপাড়ার, নড়াইলের লোহাগড়ার বরুমমানিনগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আল আমিন শেখ (২৮) ভাড়াটিয়া সুলতানপুর চাদপুর রোড সদর যশোর, খুলনার ফুলতলা থানার গাড়াখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৯) ভাড়াটিয়া যশোর উপশহর ৭ নম্বর সেক্টরের, যশোর সদরের জগন্নাথপুরের আকসেদ গাজীর ছেলে ফারুক গাজী (৩৬) ভাড়াটিয়া বেজপাড়া মাঠপাড়া যশোর, নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র কবির ওরফে নূর ইসলাম (৪০), মাগুরা সদরের পার নান্দুয়ালী গ্রামের মুন্সী মাহমুদুল হকের ছেলে মজিবুল হক (৩৩), আসলাম মোল্লার ছেলে রশিদুল ইসলাম (৩২), এনামুল হকের ছেলে চঞ্চল (৩১), যশোরের কেশবপুরের কাজীরবেড় গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাধু (৩২) এবং রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সর্পব্যতেঙ্গা গ্রামের জোমারত মল্লিকের ছেলে সালাম মল্লিক (৩৬)।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপণ কুমার সরকার জানান, যশোরের ঝিকরগাছা ও কেশবপুর এলাকার দুইটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই সিন্ডিকেটের সন্ধান পায়। গত বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত যশোর, মাগুরা ও রাজবাড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চোরাই ১১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি মাষ্টার কী জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানায়, যশোর শহরে সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারে থানায় কয়েকটি মামলা হয়। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে তারা মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য। বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ (এডমিন ও অপরাধ) জানিয়েছেন, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মোটরসাইকেল চুরি করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই করতো। যশোরের এস এ পরিবহন ও জননী কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল পাচার করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে প্রমাণ আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাধারণত কুরিয়ার সার্ভিসে মোটরসাইকেল পাঠানোর সময় সংশ্লিষ্ট গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করে নেয়া হয়। বুকিং হওয়া গাড়ির রেজিষ্ট্রেশনের ছায়াকপি কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে। কিন্তু কী ভাবে উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাচার হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা নং-৩৩, তাং-০৯-০৯-২১ খ্রি;, ধারা-৩৭৯/৪১১/৪১৩/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়েছে। এ ঘটনায় চোর চক্রের নিকট হতে ঝিকরগাছা থানার মামলা নং-০৫-০৯-২১, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড মামলার আলামত উদ্ধারসহ মামলার ঘটনা উদঘাটিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।