পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকালও লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে টানা সাত কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েই চলেছে সব ধরনের রেকর্ড।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের তিন কার্যদিবসের মতো গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় মূল্যসূচকের বড় উত্থানের মাধ্যমে। লেনদেন শুরু হতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। মধ্যে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও শেষ দিকে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় মূল্যসূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। তবে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে তার থেকে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬টির। আর ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ১৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৬১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তিনটি সূচকই এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫৫৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় দুই হাজার ৮৬৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩১০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ৮৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৭৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেপিসিএল।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, সাইফ পাওয়ার টেক, বিডি ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস এবং আলিফ মেনুফেকচারিং। অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৯৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির এবং ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।