পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী বছরের শেষের দিকে রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও রেল স্টেশন পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এক্সপ্রেসের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দরের দক্ষিণ কাওলা থেকে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এটি চালু হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমবে। পাশাপাশি এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জিডিপিতে।
গতকাল রাজধানীর বনানী এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, তিনটি ধাপে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথম ধাপে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিলে কাওলা থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত, ২য় ধাপে বনানী রেল স্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত এবং ৩য় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে। প্রথম ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ৬৬.২৫ ভাগ, দ্বিতীয় ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২১.৫০ ভাগ এবং তৃতীয় ধাপের ভৌত অগ্রগতি শতকরা ২.৩৩ ভাগ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০.৫০ ভাগ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। করোনার কারণে সেতুর কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও মূল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ভালো হওয়ায় ২০২২ সালের মধ্যে কাওলা থেকে মগবাজার পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ অংশের কাজ শেষ হলেই বছরের শেষ নাগাদ কাওলা থেকে তেজগাঁও রেল স্টেশন পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ে চালু হবে।
রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তিনটি পিলার নির্মাণ নিয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পের কোথাও কোনো জটিলতা থাকলে তা সবার সমন্বয়ের মাধ্যমে বসে সমাধান করা হবে।
প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেললাইন থেকে কুতুবখালী যাওয়ার পথে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিকে জায়গা নিয়ে রেলওয়ের ‘ঢাকা-টঙ্গী রেলপথে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়েছে ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি। নকশা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়ের একটি পিলারের জন্য জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
নকশা অনুযায়ী শাজাহানপুর ফুট ওভার ব্রিজের কাছে এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের জন্য যে জায়গা ছিল, সেখানে রেলওয়ে প্রকল্পের দু’টি রেল ট্র্যাক স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রেলওয়ে সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও এসময় জানান সেতুমন্ত্রী।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ মেট্রোরেল ও অন্যান্য প্রকল্পের কাজের ফলে সাধারণ জনগণের অসুবিধা চরম পর্যায়ে রয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, একটি কাজ করতে গেলে একটু জনদুর্ভোগ হবেই। তবে চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে সড়কে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ একেবারেই থাকবে না।
এর আগে ২০১৭ সালে গৃহীত হয় এ প্রকল্পটি। ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে অগ্রগতি পিছিয়ে পড়ে। প্রকল্পটির রুট নির্ধারিত হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী- মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯ শত ৪০ কোটি টাকা।
পরিদর্শনকালে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, প্রকল্প পরিচালক এএইচএম আখতার হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।