Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যানজট ও খানাখন্দে চরম ভোগান্তি

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বেহাল দশা

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ৪০০ মিটার দেবে গেছে। কিছু অংশ দেবে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা ১২ মাইল পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার দু’পাশে শত শত বাস-ট্রাক ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকছে পারাপারের অপেক্ষায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
জানা যায়, দেবে যাওয়া অংশের দুই প্রান্তের সামান্য এই ৪০০ মিটার সড়ক অতিক্রম করতেই তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। জনভোগান্তির পাশাপাশি এ অংশটুকুতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ ইট বালু ফেলে জরুরি মেরামত কাজ করলেও এতে তেমন সুফল মিলছে না। ওই অঞ্চলের ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি যেন এখন দুর্ভোগেরই নামান্তর। কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদীর দেবে যাওয়া অংশটি দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কোনো মহাসড়কের অংশ। দেখে মনে হবে যেন এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো এক কাঁচা সড়ক। অথচ এ সড়কটিই হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম। গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি প্রায় এক বছর ধরেই খানাখন্দে ভরে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এরইমধ্যে গত দিন দশেক আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় নতুন করে সড়কের আরও ৪০০ মিটার দেবে গেছে। বৃষ্টিতে নিচের অংশের মাটি কাদাময় হয়ে ঢেকে দিয়েছে সড়কের পিচ। সড়কের এ অংশটি দেবে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা ১২ মাইল পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটারের দু’ধারে প্রায় শত শত বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা পারাপারের জন্য স্থির দাঁড়িয়ে থাকছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ২৬ মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় পণ্যবোঝাই ভারি যানবাহন চলাচলের মতো সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় না রেখেই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে এখন দিনরাত ভারি যানবাহন চলাচল করায় কদিন পর পরই সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ তৈরি হচ্ছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই খানাখন্দে সড়কটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে সড়ক দেবে গেছে তার পাশেই রানাখড়িয়া বালুর ঘাট। প্রতিদিন ভেজা বালুবোঝাই শত শত ট্রাক এ মহাসড়কে যাতায়াত করছে। সড়কটি ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তৈরি না করায় এখন জনসাধারণকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জনদুর্ভোগ লাঘবে মহাসড়কে ইট-বালু ফেলে জরুরি মেরামত করলেও এর কোনো সুফল মিলছে না।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম জানান, জেলার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কটি পুননির্মাণের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আশা করছি পুননির্মাণ শেষ হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ