বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ক্লোজআপ ওয়ান তারকা ও নবগঠিত কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্য শিল্পী সাজু আহমেদ এর আঘাতে তার মা রাণীজন বেওয়া গুরুতর আহত হন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরের দিকে। জানা গেছে,ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু আহমেদ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য তার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ১৬ লাখ টাকা নেন। তার মা রাণীজন বেওয়া সন্তানকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে জমি বন্দক রেখেও পরিবারের টাকা সাজুর হাতে তুলে দেন। মায়ের চিন্তা ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের সকল বন্দকী জমি উদ্ধার হবে এবং পরিবারের স্বচ্ছলতা ও শান্তি ফিরে আসবে। কিন্তু সাজু আহমেদ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার পারিবারিক বন্দক রাখা জমিগুলো দীর্ঘ সময়েই আর উদ্ধার হয়নি। পরবর্তীতে তার মা বিভিন্নভাবে টাকা যোগাড় করে বন্দকী জমির কিছুটা উদ্ধার করেন।সম্প্রতি সাজু তার পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ মায়ের কাছ থেকে বুঝে নিতে চান।এজন্য স্থানীয়রা সম্প্রতি বসে শালিসে সিদ্ধান্ত নেন এক বছরের জন্য সকল জমি তার মায়ের নিয়ন্ত্রণে চাষাবাদ হবে। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে এসে সাজু আসন্ন পান্ডুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালান।নির্বাচনের কারণে বাবার সম্পত্তির জমি বিক্রির কথা মাকে জানালে এতে তার মা অসম্মতি জানান।পরে মা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে শুক্রবার দুপুরে এক পর্যায়ে সাজু তার মাকে কাঠের পিড়া (বসার জন্য কাঠের তৈরি) দিয়ে ঢিল ছুঁড়লে তার মায়ের কপালে অনেকটা ফেটে আহত হন।এরপর এলাকার লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় সাজুর মা রানীজন বেওয়াকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পান্ডুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,দেশের একজন খ্যাতিমান কন্ঠশিল্পী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে তার আঘাতে মায়ের রক্ত ঝরা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি এহেন ঘটনার ধিক্কার জানাই। সাজু এলাকায় নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছে। যার কাছে নিজের গর্ভধারিনী মা ই নিরাপদ নয় তার কাছ থেকে জনগণ কি সেবা পাবে?
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবীর জানান,এ ঘটনায় একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।