Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

৭টি উপজেলার দুইশতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:২১ পিএম

টাঙ্গাইলে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাইসহ সকল নদ নদীর পানি। এতে করে জেলার ৭টি উপজেলার দুইশতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বানের স্রোতে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ ভেঙে যাতায়াতে বেড়েছে দুর্ভোগ। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট। নৌকাই এখন একমাত্র ভরসা বানভাসিদের।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধলেশ্বরী নদীর পানি বাড়লেও যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি কমেছে। যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭৯ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অসময়ের বন্যা দেখা দেয়ায় টাঙ্গাইল সদর, ভুঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও দেলদুয়ারে নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আবাদ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে পাঁচ শতাধিক হেক্টর ফসলি জমি। পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেখা দিয়েছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের খাদ্য সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বানভাসিরা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যমুনা নদী ধলেশ্বরীসহ অন্যান্য নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৮০ কিলোমিটার অংশে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভাঙন নিরুপনে কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি আরো এক সপ্তাহ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ