পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা কমতে শুরু করেছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭৪৩ জন। শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর আগে চলতি বছরের ১২ জুন একদিনে ১ হাজার ৬৩৭ জনের শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে হিসাবে প্রায় চার মাস পর করোনাতে দৈনিক শনাক্ত ২ হাজারের নিচে নেমে এলো। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১ জন। এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুন আজকের চেয়ে কম, ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল অধিদফতর। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, একদিনে নতুন শনাক্ত হওয়া ১ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসাবে মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ১২ হাজার ২৬ জন। একই সময়ে মারা যাওয়া ৬১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ২৬ হাজার ৪৯৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, একদিনে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪২১ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে মোট সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৭ হাজার ৪৫৪টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৫০টি। দেশে এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৬৩টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
একদিনে মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন আর নারী ৩১ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ১৪৮ জন আর নারী মারা গেলেন ৯ হাজার ৩৪৫ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৬ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানাচ্ছে, মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ৪ জন, খুলনা বিভাগের ৬ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের ২ জন করে আর সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন একজন করে। মারা যাওয়া ৬১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫৩ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৩৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৪২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬৩০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৯৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। অতঃপর ওই বছরের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমে এলেও চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার প্রাদুর্ভাব ঘটলে সারা দেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নেমে আসে। তবে নানা সময়ে লকডাউনের কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন কমে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।