পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ ও জাতির এই সঙ্কটকালে সাহস না হারাতে এবং হতাশ না হওয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকদিন আগেও আমি দেখা করেছি। তিনি একটা কথাই বলেছেন, কখনোই সাহস হারাবে না, কখনো হতাশ হবে না। মনের মধ্যে জোর রাখবে, মনোবল রাখবে, বিজয় তোমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ। উনি আছেন, উনি থাকবেন। ইনশাআল্লাহ উনি মুক্ত হয়ে আবারো আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই সঙ্কট একা বিএনপির সঙ্কট নয়, এই সঙ্কট সমগ্র জাতির। আজকে আমাদের জাতির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ যত দিন থাকবে, এই জাতির অস্তিত্ব আরো বিপন্ন হবে। আমরা জানি এদেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি। সময় লাগতে পারে; কিন্তু পরাজিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভয়াবহ যে দানবীয় শক্তি সমস্তবিরোধী শক্তিগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখানে প্রয়োজন জনগণ এবং সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্য। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব ৮ হাজার মাইল দূরে থেকে নিরলস পরিশ্রম করছেন, চেষ্টা করছেন দলকে সংগঠিত করতে, আন্দোলনকে সংগঠিত করতে। আমরা বিশ্বাস করি তার এই চেষ্টা সফল হবে এবং সকলের যৌথ চেষ্টায় এবং সমস্ত মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এদেরকে পরাজিত করতে সক্ষম হব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছদ্মবেশী বাকশালের শাসন চলছে। সাংবাদিকদের ভাইরা কেউ নিজেরাই লেখেন না, সেলফ সেন্সরশীপ করছেন। কেনো? যদি একটা শব্দ, একটা বাক্য যদি এদিক-ওদিক হয়, তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে জেল এবং নন-বেইল-এই একটা অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকার মানুষের দৃষ্টিটাকে অন্যদিকে নিতে চায় আসল ইস্যুটাকে থেকে। পত্র-পত্রিকাগুলোও ওই লাইনে চলে গেছে। যেইটা ইস্যু না- কোথাকার কোন পরীমণি, ওমুক মণি- এসব নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ছে এবং ওটাকে বড় করে হেডলাইন করে।
ফখরুল বলেন, চমৎকার! অন্তুত একবার আমরা জানলাম যে, হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে এক্সপ্লানেশন কল করল যে, তুমি রিমান্ডে নিয়েছ নিয়ম ব্যতিক্রম করে কেন? কিন্তু এই হাইকোর্ট যখন আমাদের রিমান্ডে নেয়া হয় নিয়ম ব্যতিক্রম করে, যখন রাজনৈতিক নেতাদের অত্যাচার করা হয় রিমান্ডের মধ্য দিয়ে। সেই সম্পর্কে কিন্তু তারা (গণমাধ্যম) কথা বলে না। কারণ তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই কিছু বলার।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কেন করব, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের যোগ দেয়া নিয়ে কথা বলছে? কারণ ওদের আর কিছু নাই তো। দেউলিয়া হয়ে গেছে রাজনৈতিকভাবে। এখন ইস্যু হচ্ছে টিকা। এগুলো থেকে তারা মানুষের দৃষ্টি সরাতে চায়।
সীমান্তের মানুষ হত্যা বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হওয়া জন্য সরকারের ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতি’কে দায়ী করেন বিএনপি মহাসচিব। করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবিলায় সরকারের সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতারও সমালোচনা করেন তিনি।
জাইমাকে নিয়ে আসুন
গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুলল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি আপিল করছি বিএনপির কাছে তারা জাইমা রহমানকে (তারেক রহমানের মেয়ে) ঢাকায় পাঠাক। তাকে ঢাকায় পাঠালে সে হবে খালেদা জিয়ার রিয়্যাল প্রতিভু। সে অফিস সেক্রেটারি হবেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হবেন। চেয়ারম্যান হবেন না। তাহলে দেখবেন জনগণ তাকে (জাইমা) নিয়ে হুড় হুড় করে পড়বে। এই সরকার পালাবার পথ পাবে না। প্রথম পালিয়ে যাবেন আমাদের চিফ জাস্টিস।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ফেরত আনতে হবে। গণতন্ত্রকে ফেরত আনতে হলে শুধু একটা ভোট হলে হবে না। দুই বছরের জন্য আমাদের এখানে একটা সরকার দরকার যে অন্যায়গুলো হয়েছে, যে অন্যায় বিচারগুলো হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে সমাধান আনতে হবে। আমি আপনাদের রাস্তায় দেখতে চাই। বিএনপিকে বলব, রাস্তায় নামেন। আমাদের যতই বয়স হোক আমি আপনাদের পেছনে থাকব। এই দানবের হাত থেকে আমাদের মুক্তির প্রয়োজন। এই ভেজাল সরকারের পরিবর্তন চাই, ভেজাল সরকারের থেকে আমরা মুক্তি চাই, এই ভেজাল বিচার থেকে আমরা মুক্তি চাই। ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট কাজী জাফর আহমদ মারা যান।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি খোন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, মজিবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমীন, শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, সেলিম মাস্টার, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল হুদা, হান্নান আহমেদ খান বাবুল, কাজী মো. নজরুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।