রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পরশুরাম উপজেলার ৩নং চিথলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর-রতনপুর সড়কটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ বছর আগে। সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের অস্তিত্ব দিন দিন বিলীন হচ্ছে জমিতে। দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নে দুর্গাপুর-রতনপুর সড়কটির অবস্থান। গত ৬ বছর আগে এক কিলোমিটার সড়কটির ২৩০-৫০০ মিটার অংশে পাকা সিসি ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। এর কাজ পায় তুলিতুশি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কের কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মাথায় রতনপুরে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের অংশে বিশাল ভাঙন দেখা দিলে দুর্গাপুর-রতনপুর সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি গড়ায়। পানির তীব্র স্রোতে সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটির ওপরের পাকা সিসি ঢালাই ভেঙে গর্তে দেবে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেখানে শুধু এখন সড়কবিহীন একটি কালভার্ট দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই কালভার্টটি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ২৭৮টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। ফুলগাজী উপজেলার জয়পুর, পরশুরাম উপজেলার রতনপুর ও দুর্গাপুর গ্রামের ৩শ’ পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ সেখানে বসবাস করে। তারা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতো কিন্তু সড়কটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও সংস্কার কাজ না হওয়ায় জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, এই সড়কটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য তারা বারবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছেন এবং লিখিতভাবে জানিয়েছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তারা সড়কটি সংস্কারে এগিয়ে আসার জন্য ফেনী-১ আসনের এমপি শিরিন আখতার ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার তপনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জানান, সড়কটি নতুন প্রকল্পের আওতায় থাকলে দ্রুত কাজ শুরু হবে। না থাকলে পরবর্তীতে দ্রুত সড়ক সংস্কার কাছের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিয়াংকা দত্ত ইনকিলাবকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিষয়ে তিনি প্রথম শুনেছেন। তিনি এই সড়কটির খোঁজ নিবেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।