পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, অর্থের নিরাপত্তা না থাকলে কোনো বিনিয়োগকারী আসবে না। তাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের অর্থের নিরাপত্তা দিতে হবে। একই সঙ্গে যেখানে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নেই, সেখানে কেউ আসবে না। প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, আমরা শেয়ারবাজারকে একটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই, যে উচ্চতা বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডিজার্ভ করে। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা যেখানে নেই, সেখানে কেউ আসবে না। সুতরাং আপনাদের কাছে অনুরোধ (ব্রোকারেজ হাউস ও ট্রেকহোল্ডার), আপনাকে বিশ্বাস করে, আপনার কাছে যারা তাদের অনেক কষ্টের সম্পদ-সঞ্চয় দিয়ে যাচ্ছে, তাদের সম্পদ রক্ষা করবেন। প্রফেসর ড. শিবলী বলেন, আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট খুবই বিজনেস ফ্রেন্ডলি। শুধু দু-একটা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা নিয়মকানুন মানতে চায় না।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে ডিএসই’র নিকুঞ্জ কার্যালয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন ট্রেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনি যদি মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারেন, ভালো রিটার্ন দিতে পারেন, মানুষ যদি আপনার কাছে আস্থা, সম্মান ও বিশ্বাস পায়, তাহলে মানুষ কেন আসবে না? আপনার কাছে রিটার্ন তো বেশি পাচ্ছে। সুতরাং আপনার মার্কেট অনেক বড় এবং আপনার মার্কেটই হবে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি।
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অনেকে না বুঝে শেয়ারবাজারকে অনুৎপাদনশীল খাত বলে। আমরা যে প্রাইমারি ও বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করে উৎপাদনশীল খাতগুলোর কার্যক্রমে সহযোগিতা করছি, তাদের দেশ থেকে দেশান্তরে এবং দেশের ভেতরে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা করছি, সবই তো উৎপাদশীল খাতে যাচ্ছে। তাহলে এখানে এ কথাগুলো কেন আসছে? যাই হোক, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। আমাদের যেটুকু সময় আছে বিবেকের কাছে জবাবদিহি করে কাজ করে যাবো। কেউ যদি বাধা দেয়ায় চেষ্টা করে, সমালোচনা করে, না বুঝে কিছু বলে- সেদিকে কর্ণপাত করে আমরা সময় নষ্ট করবো না বলে উল্লেখ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেছেন, মূল্যসূচক ২০ হাজার পয়েন্টে উঠলেও তা কোনো বিষয় নয়। তিনি বলেন, অনেকে আমার কাছে জিজ্ঞেস করেন এই বাজার টিকবে কি-না। আমি বলি ১০০ শতাংশ টিকবে।
রকিবুর রহমান বলেন, আগামী বছর পাঁচ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে। আর সূচক কোনো ব্যাপার না। এটি ১০ হাজার উঠবে, ১৫ হাজার উঠবে, ২০ হাজার উঠবে। এটি শুধু শেয়ার দরকে ইঙ্গিত করে। তিনি বলেন, ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক ৫৪ হাজার। সূচক কোনো ব্যাপার না। শেয়ারের দাম বাড়লে, সূচক বাড়বে। অনেকে শেয়ারবাজার টিকবে কি-না জিজ্ঞেস করে। আমি বলি ১০০ শতাংশ টিকবে। কারণ ট্রেডিং মার্কেট টিকে। তবে হ্যাঁ কারেকশন হতে পারে। যেমন ৫০ টাকার শেয়ার যখন ১০০ টাকায় উঠে, সেটি ৮০ টাকায় নামতে পারে। তবে সেটি ৫০ টাকায় নামবে না।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো কী পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। এ খাতটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর সবদেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারকে স্থিতিশীল করে। দেশে সেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা দেখে আমি নিজেই বেহুশ হয়ে গেছি। তাদের ব্যবসায়িক অর্জন দেখে অবাক হয়ে গেছি। ডিএসই’র এ পরিচালক বলেন, বর্তমান কমিশন শেয়ারবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে। তারা এরই মধ্যে দুবাই ও আমেরিকা রোড শো করেছে। আমেরিকায়ও বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেকে ১০ লাখ টাকা এনে খেলাধুলা শুরু করে দেয়। এ করতে গিয়ে কোন দিক দিয়ে সেই টাকা চলে যায়, পরে চিল্লাচিল্লি করে। তবে এ বাজারে হাজারো বিনিয়োগকারী আছে। এখানে শুধু ছোট বাক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না, আমরাও আছি। বড় বিনিয়োগকারীও আছে। তারা কিন্তু আবেগ দিয়ে চলে না। তাদের লস নাই। তারা বিনিয়োগ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।