পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেয়ারবাজারে অর্থ কোনো সমস্যা না উল্লেখ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, প্রচুর বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। আমেরিকা থেকেও বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করছে।
গতকাল ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক প্রাক বাজেট আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটিজ অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) যৌথভাবে এটির আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার আরিফ খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো ভালোই করছে। এই খাতের সহযোগিতা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আছে। একই সঙ্গে আজকের আলোচনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাজেটকে কেন্দ্র করে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা তুলে ধরে প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এ তালিকায় সিঙ্গাপুর ও দুবাই রয়েছে। এমনকি আমেরিকা থেকেও বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ করছে। তাই অর্থ কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। স্বাধীনতার সময় আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, তা পূরন হয়নি। আমাদের গতি বাড়াতে হবে। ১৫ বছর আগের ভিয়েতনামের দিকে তাকালেও আমরা কোথায় আছি, সেটা বুঝতে পারব। কিছু দুষ্টলোকের কারণে আমাদের এই অবস্থা। এ সময় এসএমই বোর্ড নিয়েও কথা বলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন ব্যবসাবান্ধব। আমরা ব্যবসাকে সহজ করে দেয়ার জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে দেশের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে এসএমই বোর্ডে একটি কোম্পানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামি ১ মাসের মধ্যে আরও ৪-৫টি কোম্পানির অনুমোদন দেয়া হবে। এই বোর্ড ধীরে ধীরে বড় হবে এবং পরবর্তীতে এখান থেকে বিভিন্ন কোম্পানি মূল বোর্ডে চলে যাবে।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, স্টার্টআপকে এগিয়ে নিতে কমিশন একটি ভেঞ্চার কোম্পানির লাইসেন্স দিয়েছে। আরও দুটি কোম্পানির আবেদন জমা রয়েছে। তবে এ খাতকে এগিয়ে নিতে সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ দুয়েকটি দুষ্টলোকের কারণে পুরো খাতটি হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই শুরু থেকেই এই খাতের সংগঠনকে সুশাসনে নজর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিবছর যাত্রা শুরু করে ২শ’-টিরও বেশি স্টার্টআপ। বর্তমানে ১২ শতাধিক দেশীয় উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাবনাময় এ খাতে প্রায় ২৪৭ মিলিয়ন ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। তবে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় দেশের স্টার্টআপে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ।
মূল প্রবন্ধে আরিফ খান বলেন, ২০১৭ সালে দেশীয় স্টার্টআপে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে যা ১০৩ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ২০১৯ ও ২০২০ সালে যথাক্রমে ৯১ ও ৩৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পায় দেশীয় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো।
দেশের স্টার্টআপে ২০২১ সালে এ পর্যন্ত ৩১ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এসেছে।
আরিফ খান বলেন, সরকার স্টার্টআপের বিকাশে যথেষ্ট আন্তরিক। করোনার মধ্যেও ২০২১ সালে দেশের ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। তবে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া অবস্থান, গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং না করাকেই দেখছেন তিনি।
বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের ইমেজ সঙ্কট রয়েছে। এটাকে সামগ্রিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। এটাকে সাহায্য সহযোগিতা করা দরকার। সবাই মিলে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে দেশের এই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো সত্যিকারভাবে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। এই স্টার্টআপের হাওয়াটাকে আরও জোরদার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
সহজ ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা মালিহা কাদের বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ব্রান্ড ভ্যালু অনেক কম। ইনভেস্টররা বাংলাদেশের কথা শুনলে মনে করে এই দেশ অনেক গরিব কিংবা দুর্যোগকবলিত দেশ। এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ করতে হবে। প্রয়োজনে গ্লোবাল পি আর এজেন্সি হায়ার করে বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করতে হবে। আমরা গরিব দেশ নই, উন্নয়নশীল ও বিনিয়োগবান্ধব এটা সবাইকে বোঝাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।