পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়া যুদ্ধাপরাধের শামীল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সাথে শুধু জিয়াউর রহমান কেনো, যারাই যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়া যুদ্ধাপরাধের শামীল। আবার যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনাল চলবে। আমরা চালাবো, আমরা চালাবো। যুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে-এরা তো স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এরা যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। ওরা তো আলবদরের চেয়েও ক্ষতিকারক। আলবদর তো মাটির নিচে গেছে। রাজাকাররাও কয়েকদিন পর আর থাকবো না।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের কটুক্তির জবাব দিতে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদেরকেও আগামী ৩০ বছর পর খুঁজে পাওয়া যাবো না। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে যারা শুনছেন এই লোকগুলোকে ৩০ বছর পর পৃথিবীতে থাকবেন না। কিন্তু জাতি লালন করবে সত্য ইতিহাসগুলো। সেই লালনের ক্ষেত্রটা তৈরি করা করা আপনার-আমার দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের এখন দায়িত্ব আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিবেশ তৈরি করা। আমরা পল্টনের নায়ক না বানাইয়া, পরিস্থিতি-পরিবেশ তৈরি কইরা তাকে দেশে এনে রাষ্ট্রের নায়ক বানাই। এটা শুধু মুখে বললে তো হবে না। মুখে বলার সাথে সেটা অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, ১/১১ এর আমি কথা বলতে চাই না। কারণ ১/১১ এর সাথে যারা জড়িত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আমার দলের, তারাই নেতৃত্ব করেন। সেখানে বইলা আমি দলে বিভাজন ফালাই কেমনে। আমি এটা চাই না।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) যুক্তি বুঝে না, কিচ্ছুই বুঝে না। ওরা একটাই বুঝে, ওরা মনে করে আলোচনায়, ওরা মনে করে ভাষণ দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ওরা মনে করে যে, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা ছোট বেলা শুনতাম আইয়ুবের শাসন, শেখ মুজিবের ভাষণ, আর এখন শেখ হাসিনার দুঃশাসন। আমি বলতে চাই, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই, ভাষণে দেশ স্বাধীন হয় নাই, আলোচনায় দেশ স্বাধীন হয় নাই। যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা বিলকিছ ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমীন, মহানগর দক্ষিণের ফরিদ উদ্দিন, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের জনতার রফিক, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, মুসা ফরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।