বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারিয়ার স্বজনদের অভিযোগ তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।অপর দিকে নিহত মারিয়ার শশুর বাড়ির অভিযোগ সকলের অগোচরে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে দরজা খুলে পাচঁতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে মারিয়া। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী রিফাত, শাশুড়ি ও দেবরকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটে ফতুল্লা মডেল থানার মাসদাইর ছোট কবরস্থানের শাহাদাতের ভাড়াটিয়া বাড়িতে। নিহত মারিয়া স্বামী রিফাত ও শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ওই বাড়িতে থাকতো।
সে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার পূর্ব শিয়লাদির দুবাই প্রবাসী মো. শহীদ মীরের কন্যা। স্বামী রিফাত একই জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার আউশাহি গ্রামের মালয়শিয়া প্রবাসী মো. লিটনের ছেলে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল জানান, খবর পেয়ে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন। এবং হত্যাকান্ড না আত্মহত্যা
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী রিফাত, শাশুরি ও দেবরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহতের স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাকে জানায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে রিফাত ও মারিয়ার সাথে ঝগড়া হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যস্থতায় তা মীমাংসা হয়। তারা সকলেই ঘুমিয়ে পড়ে।
রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে নিয়ে নিহত গৃহবধূ সকলের অগোচরে দরজা খুলে পাচঁতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে নিচে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করে।
তিনি আরো জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে এ ঘটনার পর নিহতের চাচা হুমায়ুন হাওলাদার জানান, তার ভাতিজি মারিয়া আক্তার আত্মহত্যা করতে পারেনা। তার ভাতিজিকে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত মারিয়া আক্তারের মা রহিমা আক্তার জানায়, তার মেয়ে মারিয়া আক্তার রিফাতের সাথে প্রেম করে চার মাস পূর্বে বিয়ে করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তারা সে বিয়ে মেনে নিয়ে পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠান করে মেয়েকে তুলে দেওয়া হয়।
বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে তার মেয়ের উপর নির্যাতন করতো স্বামী রিফাত। এমন কি মেয়েকে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হতোনা। তারা মাসদাইরের ভাড়া বাসায় মেয়েকে দেখতে এলেও তাদের সাথে মেয়েকে দেখা করতে দিতোনা। প্রতিদিনই মেয়ের উপর নির্যাতন করতো।
শুক্রবার ভোররাত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মেয়ের শ্বশুড় বাড়ী থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয় যে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। পরে তারা এখানে এসে জানতে পারে যে তার মেয়ে মারা গেছে।
তার দাবি পরিকল্পিত ভাবে তার মেয়েকে ছাঁদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে পার পেয়ে যেতে চাইছে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।