Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে বন্যার চরম অবনতি, ৮০ কিলোমিটার ভাঙন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৩৮ এএম

বন্যার চরম অবনতি হয়েছে টাঙ্গাইলে। এতে অসংখ্য মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে টাঙ্গাইলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভুঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুরে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলার ৬ টি উপজেলার দুই শতাধিক গ্রামের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বানের স্রোতে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ ভেঙে যাতায়াতে বেড়েছে দুর্ভোগ। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

অসময়ের বন্যা দেখা দেয়ায় টাঙ্গাইল সদর, ভুঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, মির্জাপুর, বাসাইলের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এতে আবাদ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে পাঁচ শতাধিক হেক্টর ফসলি জমি। পানিবন্দী দেড় লাখেরও বেশি মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। দেখা দিয়েছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের খাদ্য সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বানভাসিরা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যমুনা নদী ধলেশ্বরীসহ অন্যান্য নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৮০ কিলোমিটার অংশে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভাঙন নিরূপণে কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি আরো এক সপ্তাহ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ