পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে নামলে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। কবে থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল বুধবার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে খোলা হবে তা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্কুল-কলেজ খোলার পর কী কী করণীয় হবে সেসব বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে, সেই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বৈঠকে আমরা তা উপস্থাপন করবো। এসব পরিকল্পনা আলোচনার মাধ্যমে চ‚ড়ান্ত করা হবে। এরপর সব সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও খোলার পর দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও অনুসরণ পদ্ধতি প্রণয়ন, এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষাগুলো দ্রুত সম্পন্ন করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পর্যায়ের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটি মতামত দিয়েছে। বর্তমানে এ হার ১২ শতাংশে নেমেছে। কয়েকদিনের মধ্যে তা ১০ শতাংশে নেমে যাবে। তবে সংক্রমণ ৭-৮ শতাংশে নামলে স্কুল-কলেজ খোলার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে আগের ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ৬ দিন করে ক্লাস নেওয়া হবে। আর প্রথম ধাপে অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের একদিন করে ক্লাস নেওয়া হবে। একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তিনটি কক্ষে বসানো হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তাদের সপ্তাহে দুইদিন করে ক্লাস নেওয়া হবে।
এদিকে গত ২৬ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আর কতজন প্রথম ডোজ নিয়েছেন, আবাসিক হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে। এরপর চলতি সপ্তাহে ইউজিসি থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়ে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ, মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এমনকি রাজশাহী, ঢাকা ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে খোলা আকাশের নীচে প্রতিকী ক্লাস নেয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।